শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর চরে কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম (৪০) নামের এক কৃষক। এসময় কামড় দেওয়া সাপটিকে মেরে সঙ্গে নিয়েই তিনি হাসপাতালে আসেন। আশরাফুল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ঝগড়ার চর গ্রামের মতিয়ারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সাপে কামড়ের শিকার আশরাফুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, সাপে কামড় দিলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথমে অন্তত ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরমধ্যে শারীরিক অবনতি ঘটলে এন্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়।
জানা যায়, আহত আশরাফুল ইসলাম জাজিরার ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাটের শ্রমিক হাটের একজন নিয়মিত শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকালে পালেরচরের ইয়াছিন ঢালী নামের এক কৃষক তাকে পালেরচর এলাকার সংলগ্ন পদ্মা নদীর চরে কৃষি জমিতে কাজ করার জন্য নিয়ে যান। পরে দুপুর ১টার দিকে জমিতে কাজ করার সময় আশরাফুলের পায়ে সাপে কামড় দেয়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাপে কামড়ের স্থানের একটু উপড়ে বেধে এবং সাপটিকে মেরে ছোট একটি বালতিতে করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
চিকিৎসাধীন আশরাফুল বলেন, দুপুরে পদ্মা নদীর চরে ক্ষেতে কাজ করার সময় একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। এসময় চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে এসে সাপটি মেরে ফেলে। পরে সাপসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। এখন তিনি সুস্থ আছেন বলেও জানান।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাপসহ এক ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। সাপটি দেখে রাসেলস ভাইপার বলে চিহ্নিত করা যায়। এতে আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে সহজ হয়। রোগীকে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পর পর তার রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি না হলে তিনি বিপদমুক্ত। আর যদি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তবে তাকে এন্টিভেনম দেয়া হবে।
কেকে/এমআই