জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন শেষে উপাচার্যের প্রদত্ত বাণীতে এমন মন্তব্য করেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) করা হয় এবং ৯.১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে হাবিপ্রবির ভাইস—চ্যান্সেলর, প্রো ভাইস—চ্যান্সেলর, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। অত:পর ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা ও প্রো ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস এম এমদাদুল হাসান,প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, চেয়ারম্যান, হল সুপার, পরিচালকবৃন্দ, অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. আবুল কালাম।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সকলের মাঝে ভাইস—চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়। বাণীতে ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন “আজ ১৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক “শহীদ বুদ্ধিজীবী” দিবস। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের রক্তে রঞ্জিত এক শোকাবহ দিন। এ দিনে আমরা হারিয়েছি—এ জাতির বিবেক ও শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি সে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
১৯৭১—এর রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে এ দিনে দখলদার পাক বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পরিকল্পিতভাবে আমাদের স্বাধীন চিন্তার ধারক বিশিষ্ট ও প্রতিথযশা বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক ও দার্শনিকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল আমাদের মুক্তচিন্তা, মেধা ও মনন ধ্বংস করে বুদ্ধিবৃত্তিক জগতকে নিঃশেষ করে ফেলা। জাতি চিরদিন এ বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। স্বাধীনতার পূর্বে এ জাতি যখন পাকিস্তানি শোষক ও শাসক শ্রেণির জাতাকলে পিষ্ট ছিল, সেই দুঃসময়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে তাঁদের প্রজ্ঞা, মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের সে পবিত্র দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
পরিশেষে, আমি ৭১ এর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সকলকে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানাই”।
এছাড়াও দিনটি উপলক্ষ্যে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকল শহীদগণের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
কেকে/এআর