১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নবউত্থিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্ভাবনা নষ্ট করতেই ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। সবাই শহিদদের বন্দনা করে, কিন্তু তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করেনা। অপরাধ আর পাপের কারণেই আওয়ামী লীগ নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে।মীরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা নিবেদন।
আজ (১৪ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মীরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, বুদ্ধিজীবীসহ লক্ষ্ লক্ষ্ শহিদের রক্তের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পূর্বমুহুর্তে ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। নবউত্থিত রাষ্ট্রের সম্ভাবনা নষ্ট করতেই এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছে। ৫৪ বছর পার হলেও এখনও শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যার উপযুক্ত বিচার হয়নি, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি।
তিনি বলেন, গত ৫৪ বছরে সবাই শহিদদের বন্দনা করেছে, কিন্ত কেউই শহিদদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করেনি। শহিদ বুদ্ধিজীবীরা যে সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন তার বিপরীতে দেশকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৪ এর ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থান আরেকবার শহিদদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরী করেছে। ৭২ আর ৯০ এর মত এই সুযোগ এবার নষ্ট করা যাবেনা।
তিনি বলেন, বৈষম্যহীন সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এবার শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিজেদের অপরাধ আর পাপের কারণেই আওয়ামী লীগ দেশের নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তারা ভূলুণ্ঠিত করেছে। শহিদদের গনতান্ত্রিক চেতনাকে পদদলিত করে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন কায়েম করেছিল।
সকালে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।
এর আগে সকাল ৯.৩০ এ মীরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর রেজাউল আলম, ঢাকা মহানগর কমিটির জোনায়েদ হোসেন, বাবর চৌধুরী, মোহাম্মদ ডালিম, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
কেকে/এআর