১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যায় শুধু পাকিস্তানিরায় জড়িত ছিলনা বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পেছনে শুধু পাকিস্তানিরা জড়িত ছিলনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান যিনি অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন, তাকেও হত্যা করা হয়েছিল। যদি পাকিস্তানি বিদ্রোহীরায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে থাকতো তাহলে পাকিস্তানপন্থী কোনো বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করার কথা নয়। অনেকে বলে থাকেন বাংলাদেশের মনিরুজ্জামানকে হত্যা করতে গিয়ে ভুল করে তাকে হত্যা করা হয়েছে, এটা যথার্থ উত্তর নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, কেন হত্যা করল, কিভাবে হত্যা করল সেটা নিয়ে পরিপূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার এবং সঠিক ঘটনা জাতিকে জানানো প্রয়োজন।’
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘১৯৭১ সালে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল। একইভাবে ২৪এর ছাত্র আন্দোলনে একই ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করা হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে স্বৈরাচার সরকারের সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়।’
অনুষ্ঠানে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস: ইতিহাস, তাৎপর্য ও শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী।
সভায় বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফয়সাল আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক। এ সময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ সলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদিরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এমআই