থানার পাশে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২
সরোয়ার হোসেন, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০৮ পিএম আপডেট: ১৪.১২.২০২৪ ৮:২৮ পিএম (ভিজিটর : ১১৩)
ছবি: প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার পাশে এক কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গণধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আজিমনগর এলাকা থেকে দুই ধর্ষণকারীকে আটক করে দুপুরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করেছে।
আটককৃত ধর্ষণকারী দুই যুবক হচ্ছে- ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঘোষ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মো. জুয়েল রানা (৩১) ও একই এলাকার মতিউর রহমান (৩০)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর ওই কলেজ ছাত্রী ডাক্তার দেখানোর জন্য ফরিদপুরে যায়। সেখানে তার পূর্ব পরিচিত শিলা নামের এক নারী ফুসলিয়ে তাকে ভাঙ্গা থানার পাশে গ্রীন হাসপাতালের উপরে তিনতলায় শিল্পী আফরোজীর ফ্লাটে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থানরত দুই যুবক ওই নারীর সহায়তায় রাতভর কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। পরদিন বিষয়টি মেয়েটি তার পরিবারে জানায়। এর দুইদিন পর তার বড় দুই বোনের সহায়তায় গত ০৭/১২/২৪ তারিখ রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন। ৮ তারিখে ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং পুলিশের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোকসেদুর রহমান জানান, গত ০৭/১২/২৪ তারিখে ভাঙ্গা থানা এলাকায় ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় জুয়েল ও মতিউর নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তারা দুজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে তাদের দুজনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বোন বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা করেছে।
কেকে/এমআই