শ্রীলঙ্কায় দুইদিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের দশ জন তরুন-তরুনীর মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান স্নাতকোত্তর পড়ুয়া শিক্ষার্থী লায়ভা হক অংশগ্রহণ করেন।
গত ৬ থেকে ৭ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে দ্য সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলে দক্ষিণ এশীয় যুব সম্মেলনটি আয়োজিত হয়। ফুল ফান্ডেড দুই দিনের এই আয়োজনে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিশজন তরুন-তরুনী অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সার্বিক তামাক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কীভাবে ভূমিকা রাখা সম্ভব তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। এসময় তারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এন্টি টোব্যাকো ক্লাব, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, ডরপ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, নারী মৈত্রী প্রভৃতি তামাক প্রতিরোধী সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন।
উক্ত সম্মেলনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্বকারী লায়ভা হক তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘জীবনে প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চয়ই অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও দক্ষিণ এশিয়ার অনিন্দ্য সুন্দর দ্বীপ রাষ্ট্রটি ভ্রমণের মাধ্যমে তামাক প্রতিরোধ, আমাদের ও পাকিস্তানের তামাক অবস্থা ও সংস্কৃতি এবং দেশগুলোর কৃষ্টিসহ প্রভৃতি বিষয়াদি সম্পর্কে ধারণা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করার সৌভাগ্য লাভ করেছি। এই আয়োজনে আমাকে সুযোগ প্রদানের জন্য সিটিএফকে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এন্টি টোব্যাকো ক্লাব ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনিঃশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এছাড়া আমার প্রিয় পরিবার ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দের অসীম অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতার জন্য তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।’
এ বিষয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী লাইভা হক শ্রীলঙ্কায় টোবাকো ফ্রি কিডস সম্মেলনে আমাদের দেশের হয়ে অংশগ্রহণ করেছে। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বড় অর্জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গবেষণা, কনফারেন্স, বিভিন্ন প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় দেশ ও বিদেশে অংশগ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার্থীদের ভলান্টারি সংগঠনগুলোতে যুক্ত থাকা জরুরী।’
কেকে/এমএস