ঢাকার ধামরাইয়ে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে ইটভাটার একটি ভিটায় নিয়ে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী গ্রামের মো. রহিমের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৫), মো. আব্দুর রহমানের ছেলে মো. মোস্তফা (৩৮)।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর দিনগত রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানা যায় ঐ নারী। এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ্য করে আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম সিদ্দিকী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, ধামরাই পৌরসভার তালতলা সাদা মাঠ মহল্লার বাসিন্দা। প্রেমের সূত্র ধরে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী গ্রামের মো. রহিমের ছেলে নুর মোহাম্মদ মো. আব্দুর রহমানের ছেলে মো. মোস্তফার পূর্ব পরিচিতা এবং প্রেমিকা ওই যুবতীকে শুক্রবার বিকালে মোবাইলে ডেকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে সিএনজি গাড়িতে করে রাত সোয়া ৯টার দিকে নান্দেশ্বরী এলাকায় অজ্ঞাত নামা একটি ইটভাটার ভিটায় নিয়ে প্রথমে প্রেমিক নুর মোহাম্মদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এর কিছু সময় পরে মোস্তফাসহ অজ্ঞাত আর তিনজন এসে হাজির হয়। তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার মুখ বেঁধে চাপিয়ে ধরে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর আমার ডাকচিৎকার শোনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে ধর্ষিতাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার কওে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রেমের সুত্র ধরে মোবাইল ফোনে ডেকে বেড়ানোর কথা বলে ধর্ষক নুর মোহাম্মদ ও মোস্তফাসহ আরো ৩বন্ধু মিলে ওই নারী পোশাক শ্রমিককে পরিত্যাক্ত একটি ভিটায় নিয়ে পালাক্রমে উপর্যুপোরি ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে মূল হোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়। এ বিষয়ে ধামরাই থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেকে/এজে