লক্ষ্মীপুরে রবি মৌসুমের শুরুতে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন উপজেলার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। তবে, কোনো কৃষকই জানেন না যে, সারের সরকারি মূল্য কত।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর বাজারের সাব ডিলার মো. আবদুল মাজেদ জানিয়েছেন, প্রতি মৌসুমের শুরুতে সারের সংকট দেখিয়ে দাম বেড়ে যায়। চলতি মৌসুমে নভেম্বর মাস থেকে সারের দাম বৃদ্ধি পায়।
মাজেদ বলেন, বর্তমানে ৫০ কেজি দেশীয় ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সারের দাম বেড়ে সাড়ে ১১শ টাকার বেশি হয়েছে। পাইকারি দাম ২৫শ টাকা হলেও খুচরায় প্রতি কেজি ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এর দাম ছিল ১৩৫০ টাকা। এছাড়াও, বিএডিসির এক বস্তা টিএসপি সারের দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা, মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) এবং দেশীয় ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) সারের দামও বেড়েছে। ইউরিয়া সারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
চর মনসা গ্রামের সবজি চাষী আবুল বারাকাত জানান, তিনি চলতি সপ্তাহে ইউরিয়া সার কিনেছেন প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দামে এবং টিএসপি কিনেছেন ৭০ টাকা কেজি দামে। তিনি জানান, অন্যান্য সারের দামও বেড়েছে।
কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, পরিবেশকরা (ডিলার) কৃষকদের কাছে সার বিক্রি না করে, অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। পরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কৃষকরা বেশি দামে সারের ব্যবস্থা করছেন।
লক্ষ্মীপুরের সারের ডিলার আক্তার এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. আরিফ বলেন, কিছু কিছু সারে সংকট থাকে এবং সময় মতো সেগুলি উত্তোলন করা যায় না।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা দাম বৃদ্ধির কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, সারের কোনো সংকট নেই। অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক সোহেল মো. শামছুদ্দিন ফিরোজ বলেন, সারের কোনো সংকট নেই। অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যদি ক্যাশ মোমো দেখাতে পারে তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, কৃষক আবদুজ জাহের এবং খুচরা বিক্রেতা মাজেদ ও বাতেন জানিয়েছেন, ডিলাররা কৃষকদের ক্যাশ মেমো দেয় না এবং বাজারে পর্যাপ্ত সার নেই।
কেকে/এএম