কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিন নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জগন্নাথপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- অটোরিকশার চালক শাহিন, আরেক যাত্রী রাজন। তাদের বাড়ি নরসিংদীর পিরিজকান্দি। আর বাকি তিন নারীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে নরসিংদীর নীলকুঠি থেকে দুটি কাভার্ডভ্যান ভৈরবের উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় অটোরিকশাও যাচ্ছিল ভৈরবের দিকে। কাভার্ডভ্যান দুটি যখন ভৈরবের জগন্নাথপুর ব্রিজ পার হয়, তখন অটোরিকশা ওভারটেক করতে গিয়ে দেখে বিপরীত দিক থেকে আরেকটি গাড়ি আসছে। তখন অটোরিকশা দুই কাভার্ডভ্যানের মাঝখানে পড়ে সামনের ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এরপর পেছন থাকা অপর ভ্যানটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই পুরুষ ও তিন নারীর মৃত্যু হয়।
নিহত অটোরিকশাচালক শাহীন আলমের বাবা পরশ মিয়া বলেন, গত ৫ বছর আগেও আমি এক ছেলেকে সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়েছি। আজ আবার আমার আরেক ছেলেকে হারালাম। নিষ্ঠুর সড়ক আমার সন্তানকে কেড়ে নিয়েছে। আমি চালকের বিচার চাই।
নিহত রাজনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজার করতে আমার ছেলে ভৈরবে যাচ্ছিল। সকালে নাস্তা খেয়ে বাজার করতে আমার সঙ্গে শেষ কথা বলে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর ফোন আসে আমার ছেলে এক্সিডেন্ট করেছে। আমার একমাত্র ছেলেকে হারালাম। আমি এখন কীভাবে চলব।
ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজু মিয়া পাঁচ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কাভার্ডভ্যান দুটি আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে চালক পালিয়েছেন। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এইচএস