বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) তে ভুয়া সিবিআই নেতা অবসর প্রাপ্ত প্রভাষ চন্দ্র ও এম এ রহিমের বেপরোয়া আচারণে অতিষ্ঠ সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীরা। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ।
গত ১১ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ট্রেড ইউনিয়ন শাখার পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে বর্তমানে বৈধ নির্বাচিত কোন শ্রমিক সংগঠন নেই।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) তে তারা বিভিন্ন সময় তদবির নিয়ে আসেন। ড্রাইভারদের বদলির জন্য সুপারিশ করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান অবৈধ সিবিআই নেতাদের কথা না শোনায় তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। বিআরটিসি কার্যালয়ে গিয়ে হামলার অভিযোগও রয়েছে।
প্রভাষ চন্দ্র ও এম এ রহিম তার দুজন দির্ঘদিন হলো বিআরটিসি থেকে অবসর নিয়েছেন। প্রভাষ সিবিআই সভাপতি ও রহিম নিজেদের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন। তাদের সঙ্গে বিআরটিসির কোন দেনা পাওনা নেই। অবসর ভাতাসহ সব টাকাই তারা উত্তল করেছেন। এখন তারা ড্রাইভারদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে বদলি বাণিজ্যের জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকদের একাংশ জানায়, আমরা এখনো বিআরটিসিতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের যে কোন দাবি নিয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যানের কাছে গেলে খুব সহজেই নিষ্পত্তি করে দেন। আপনারা জানেন, বিআরটিসি এখন অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এক সময় বিআরটিসিতে অনেক খারাপ অবস্থানে ছিলো। সেই যায়গা থেকে টেনে তুলে এনেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান। এখন প্রভাষ ও রহিম দলের নাম ভাঙিয়ে নেতা দাবি করে বিভিন্ন ডিপোতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। বহিরাগতদের দিয়ে বার বার প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালাচ্ছেন। অতিদ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনআনুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
কেকে/এমআই