দেশের ৩৭ তম পাবলিক মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে সম্প্রতি ভর্তি দুর্নীতির অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ভর্তি দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিবাদের ফল স্বরূপ দ্রুত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এ বছর ভর্তি পরীক্ষা শতভাগ স্বচ্ছ হবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার(১৪ ডিসেম্বর) ভর্তি দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হলে, রবিবার সেমিস্টার ফি কমানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি দুর্নীতির সঠিক তদন্ত ও অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন(মাকসু) প্রতিষ্ঠা করা, ক্লাসরুম থেকে সিসি ক্যামেরা সরানো ও সাংবাদিকতার অবাধ সুযোগ সহ বিভিন্ন দাবি দিয়ে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় মিরপুরস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে উপাচার্যের আশ্বাসে আলোচনায় বসতে সম্মত হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি দুর্নীতির তদন্তের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সহ একটি কমিটি গঠন করার দাবি জানায়। এ বিষয়ে উপাচার্য মহোদয় জানান নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখার সুযোগ থাকলে রাখা হবে এবং কমিটির বিষয়ে সবাইকে জানানো হবে। কমিটি দ্রুততার সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে স্বচ্ছতার বিষয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আতিক ইশরাক রিজভী জানান, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি দুর্নীতির গুঞ্জন অনেক দিন থেকে শুনে আসছিলাম আমরা। সঠিক প্রমাণের অভাবে আমরা এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পাই নি। এবারে সংবাদ প্রকাশের পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে বলে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আশা করি এ বছর ভর্তিতে কোনো দুর্নীতি হবে না। এ জন্য আমরা শিক্ষার্থীরা সবসময় সজাগ রয়েছি।
শিক্ষার্থীরা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে সম্পূর্ণ মেধা তালিকা এবং সম্পূর্ণ অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করলে ভর্তিতে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ কমে যায়। এ বছর সম্পূর্ণ মেধা তালিকা এবং অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে সকলে আশাবাদী।
কেকে/এমএস