চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগে মাঈনুদ্দীন নামে এক পুলিশ কন্সটেবল, তার পিতা নুরুল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মাঈনুদ্দীন (৩৫) উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের রশিদারঘোনা এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে ও পার্বত্য বান্দরবান জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত।
ভূক্তভোগী জহির আহামদ জানান, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের সুপারিশে নুরুল আমিনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়ার পর থেকে এলাকায় পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে মাঈনুদ্দীন, তার পিতা এবং তার ভাই কিশোর গ্যাং সদস্য রিফাত ও ফরহাদ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অন্যের জমি দখল, সরকারি জায়গা দখল, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পক্ততা, পুলিশের ক্ষমতার ভয়ে মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না। যারা প্রতিবাদ করতো তাদের কিশোর গ্যাং দিয়ে শাসাত।
সম্প্রতি উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের রশিদারঘোনা এলাকার বাসিন্দা সোলতান আহমদের পুত্র জহির আহামদের পৈতৃক ও ভোগ দখলীয় জায়গায় নুরুল আমিন ও তার ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র, দা, কিরিচ ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করে ঘর নির্মান করছে এ বিষয়ে জহির উদ্দীন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে বিষয়টি অবহিত করার পর লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন- ভুক্তভোগী জহির আহামদ এর পরিবারের সদস্যরা, এলাকাবাসীর পক্ষে কফিল উদ্দীন, জোবাইর, হাফেজ শহীদুল্লাহ ও ইব্রাহিম প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল মাঈনুদ্দীনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন-কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত নুরুল আমিন জানান, আমরা অন্যের জায়গায় বাড়ি করছি না, এটা আমার খতিয়ান ভূক্ত জায়গা। আমার ছেলে পুলিশে চাকরি করে, তবে তার প্রভাব খাটিয়ে কোন কিছু করা হয়নি।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধ কোন কিছু করার সুযোগ নেই। পুলিশ কনস্টেবল মাঈনুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা বিগত সরকারের আমলে কৃত অনিয়ম ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কেকে/এজে