১৪ ডিসেম্বরকে শত শত বছরের কলোনিয়াল শাসন হিসেবে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে “বুদ্ধি হত্যার পরম্পরাঃ '৭১-'২৪”
অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাহিদ আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে লিখিত প্রবন্ধ
উপস্থাপন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) লিখিত প্রবন্ধে আরিফ সোহেল বুদ্ধিবৃত্তিকে নিশ্চুপ করিয়ে রাখায় ঐতিহাসিক ধারার বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ এর ১৪ই ডিসেম্বরকে দেখতে হবে শত শত বছরের কলোনিয়াল শাসনে উদ্ভুত স্থানীয় জ্ঞানকান্ড ও বুদ্ধিচর্চা হত্যার ঐতিহাসিক প্রবনতার মধ্যে যেই প্রবনতা আওয়ামী সরকার ৭২-৭৫ এবং পরে গত পনের বছর নিষ্ঠার সাথে চলমান রেখেছে।
আলোচক হিসেবে অংশ নেন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সারোয়ার তুষার এবং লেখক ও অনুবাদক তুহিন খান।
আলোচনায় তুহিন খান বলেন, আওয়ামী লীগ একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যার ন্যারেটিভকে পকেটস্থ করে নিজেরাই একটা বুদ্ধিহত্যার কারখানা তৈরি করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা সেই ন্যারেটিভ ভেঙ্গে দিয়েছি। ৭১ ও ২৪’র চিন্তাহত্যাকারীদের রাজনীতি এ দেশের মানুষ নানাভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আশাকরি, সামনের দিনে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারবো।
সারোয়ার তুষার তার আলোচনায় বুদ্ধিজীবীদের গণবিরোধী অবস্থানের নিন্দা জানান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতারা অর্গানিক বুদ্ধিবৃত্তির ফসল হিসেবে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, বিরল ব্যতিক্রম বাদ দিলে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা একটি বিশেষ দলের সাংস্কৃতিক খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। অবৈধ শাসনের পক্ষে ওকালতি করেছে। ভিন্নমত ও বুদ্ধিজীবী দমনে আওয়ামী লীগ কুখ্যাত। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিসর উন্মুক্ত হয়েছে। এই পরিসর ধরে রাখতে হলে বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকল্প হাজির করা। দলীয় বা গোষ্ঠী স্বার্থ নয়; জাতীয় স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে বুদ্ধিজীবীদের।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান। সভাপ্রধান হিসেবে সমাপনী বক্তৃতা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
কেকে/এজে