রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আমার গ্রাম আমার দায়িত্ব বাল্যবিবাহ করবো মুক্ত-এ স্লোগান নিয়ে গজঘণ্টাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির বাস্তবায়নে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি (ভিডিএস), শিশু ও যুব ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় এ ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা ও উদযাপন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রংপুর এসিও’র সিনিয়র ম্যানেজার স্বপন মন্ডলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোসাদ্দেদকুর রহমান, ইউপি সচিব মোজাহারুল ইসলাম, এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার লিওবার্ট চিসিম, রংপুর এসিও’র প্রোগ্রাম কোয়ালিটি স্পেশালিস্ট কামরুল হাসান, লাইভলিহুড স্পেশালিস্ট তাহমিদুর রহমান, হেলথ এ্যান্ড নিউট্রেশন স্পেশালিস্ট পল্লব কুমার, প্রোগ্রাম অফিসার ফারুক হোসেন, শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা এপলো দাশ, প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল মজিদ প্রমূখ ইউপি সদস্য-সদস্যাবৃন্দ, ভিডিএস, শিশু ও যুবফোরামের প্রতিনিধিবর্গ, সাংবাদিক, কাজী, শিক্ষক, স্থানীয় জনসাধারণ এবং বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদযাপন অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ উপস্থিত স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন ও সমাজ গঠনের জন্য ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর ও শপথ নামা পাঠ করা হয়। পরে গজঘন্টা ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত বোর্ড হস্তান্তর করা হয়।
গঙ্গাচড়া এপির এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার লিওবার্ট চিসিম জানান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্পর্কে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, লিফলেট বিতরণ, পথ নাটক, উঠান বৈঠক ও বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে থাকা কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে বিভিন্ন ভাবে কাজ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অফিসার মোসাদ্দেকুর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহ জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য একটি অভিশাপ। বাল্যবিবাহের ফলে শিশু ও মায়েদের অপুষ্টি দেখা দেয়। শিশুদের সুন্দর একটি ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে গজঘন্টা ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে।
কেকে/এমআই