নিয়ম-নীতি না মেনে ছেলের পুলিশের চাকরির প্রভাব খাটিয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর এলাকায় অবৈধভাবে অন্যের জায়গা জবরদখল করে বাড়িঘর, পোল্ট্রি ফার্ম ও অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছেন স্থানীয় ভূমিদস্যু নুরুল আমিন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে নুরুল আমিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্থানীয় একটি পাহাড় কাটতে গেলে গোপন সূত্রে তা সেনাবাহিনীর নজরে আসে। পরে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পালিয়ে যায় ভূমিদস্যু এই সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত সময়ের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার সন্তানের পুলিশের চাকরিকে পুঁজি করে ভূমিদস্যুতা করেছিল এই নুরুল আমিন। গত (৪ আগস্ট) ছাত্র জণতার আন্দোলনের পর দেশে সব বৈষম্য দূর হলেও এখনও আধুনগরে রয়ে গেছে ভূমিদস্যুতা ও বৈষম্য। বিগত সময়ের মত এই নুরুল আমিন ভূমিদস্যুতার কাজ করে যাচ্ছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে গত ১৭ বছর ধরে চলছে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, অন্যের জায়গা জবরদখল, গাছ-পাহাড় কাটা ও বন দখলের মহোৎসব। এটিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে নুরুল আমিনের অবৈধ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভূমিদস্যু বাহিনী। যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নুরুল আমিন।
এছাড়া রয়েছে তার চাঁদাবাজের কারবারও। কেউ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ ও প্রাণনাশের হুমকি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর ও ভূমিদস্যুতার অভিযোগ পাওয়া গেছে লোহাগাড়া থানায়। বিষয়টি সেনাবাহিনীর নজরে আসলে ও ভূমিদস্যুতার কথা শোনে ঘটনাস্থলে গেলে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায় ।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ স্থগিত রাখতে বলার পরও কাজ চলমান রাখায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাজটি স্থগিত করতে সক্ষম হই।
কেকে/এজে