পটুয়াখালীর দশমিনায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দফাদারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত মো. অলিউল ইসলাম (মিরাজ) উপজেলা ৪নং দশমিনা ইউনিয়নের দফাদার পদে দায়িত্বরত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দফাদার অলিউল ইসলাম ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড লক্ষীপুর গ্রামে অপরিচিত ৩৫ বছরের প্রতিবন্ধী নারীকে পেয়ে দশমিনা থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে কল করে বিষয়টি জানান। তারপরই ঘটনাস্থলে সাংবাদিক হাসান মোল্লা পৌঁছে দফাদারকে বলেন, আগে আমাকে না বলে থানায় বললি কেন? এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর হাসান মোল্লা ক্যামেরার ইস্টিলের স্টিক দিয়ে ওই দফাদারকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আহত অবস্থায় অলিউল ইসলামকে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাঈনুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
দফাদার অলিউল ইসলাম বলেন, আমি নাকি সাংবাদিক হাসান মোল্লাকে অশিক্ষিত বলেছি যার কারণে সে আমাকে মারধর করছে। হাসান মোল্লা আমার চাকরি দেখে নিবেন ও টাকা পয়সা না দিলে চাকরিও চলে যাবে বলে হুমকি দেয়। অভিযুক্ত হাসান মোল্লা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক সাংবাদিকতায় মানুষকে নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হয়রানি করছে যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।
এদিকে, দৈনিক খোলা কাগজের সাথে আলাপকালে অভিযুক্ত হাসান মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্তের বক্তব্য ছাড়া কিভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আমি মানহানির মামলা করবো।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, মো. অলিউল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
কেকে/এআর