বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী বলেছেন, ভারত ও শেখ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর নূরানী ফুরকানিয়া ও হাফেজিয়া মাদরাসার উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামি মহা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী বলেন, বয়োবৃদ্ধ আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি জেল-জুলুম ও চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ১০ বছর আগে শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্দয়ভাবে বের করে দিয়েছিল। আল্লাহ তাআলা ১০ বছর পর শেখ হাসিনাকে এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শুধু গণভবন নয়, দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে স্বৈরাচার হাসিনা। হাসিনার দোসরা ১৫ বছর বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন-অত্যাচার চালিয়ে মানুষের কণ্ঠকে রোধ করে দিয়েছিল। মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি। সেসময় কথা বললেই গুম, খুন ও জেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালাত স্বৈরাচার সরকারের দোসরা। দীর্ঘ ১৫ থেকে ১৭ বছর এদেশের মানুষকে অন্ধকার অবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়। দেশের মানুষ আবার তাঁদের কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পায়।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ২০-৩০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে আহত করা হয়েছে। তাঁদের কারো পা নেই, কারো হাত নেই, আবার কারো চোখ নেই, কারো বুকে রয়েছে গুলির চিহ্ন। তাঁরা দুঃসহ অবস্থার মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করছে। এত মানুষের ঝরানোর পর গত চার মাসেও শেখ হাসিনা তাঁর কৃতকর্মে জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ভারত এখনও শেখ হাসিনার পতন মেনে নিতে পারেনি। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত করছে। ভারত ও শেখ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ঢাকার মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক হযরত বিল্লালের সভাপতিত্বে ইসলামিক মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- তেঘরিয়া সাহেদ আলী স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (মিস্টার) বিএসসি, কাজলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু ইসহাক প্রামানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বেলাল প্রমুখ।
কেকে/এআর