কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে দুর্নীতি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের অধিকার হরণ করে ওই কর্মকর্তা ঘুষ আদায়ে লিপ্ত।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজীবপুর উপজেলার ৭০টি প্রতিবন্ধী ভাতার বরাদ্দ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দেওয়া হয়েছে। এ কাজের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মধ্যস্থতাকারী শাহিনার মাধ্যমে ৩৩১ জনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৭০ জন ভাতা পেলেও বাকিরা কিছুই পাননি।
শাহিনা আরও অভিযোগ করেন, ছাগলের প্রকল্পের নামে সমাজসেবা কর্মকর্তা ও এক সমাজকর্মী তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়েছেন। টাকা ফেরত চাইলে তারা নানা অজুহাত দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজীবপুর সমাজসেবা অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো সেবাই মেলে না। ভাতা থেকে শুরু করে লোন পেতে পর্যন্ত মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন স্বীকার করেন, ভাতাভোগীদের নাম ভুলবশত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে ঘুষের দায় তিনি তৎকালীন সমাজকর্মী তানিয়ার ওপর চাপান। অন্যদিকে তানিয়া দাবি করেছেন, মিনহাজ উদ্দিনের নির্দেশেই তিনি টাকা নিয়েছেন।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কুড়িগ্রাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহ. হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযোগ দিন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
স্থানীয়রা দ্রুত এই দুর্নীতির বন্ধ এবং ভাতাভোগীদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, “অসহায় মানুষের ভাতা নিয়ে এমন অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
কেকে/এএম