কাগজে-কলমে সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কলচমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য নেই কোনো একাডেমিক ভবন। ফলে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে পার্শ্ববর্তী সাইক্লোন সেন্টারে গাদাগাদি করে দৈনন্দিন পাঠ গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে কলচমা গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে। বিষয়টি নিরসনে একাধিক তদবিরের পরও কোনো সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সরজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, ১৯৪৮ সালে কলচমা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় কলচমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্বাধীনতার পর ১৯৯৫ সালে সরকারি অর্থায়নে বিদ্যালয়টি কাঁচা থেকে একতলা পাকা ভবনে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় তৎসময়ে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণের কারণে ১০ বছর যেতেই ভবনটি ফাটলসহ নানান সমস্যায় পতিত হয়। এক পর্যায়ে ছাদ ফুটা হয়ে পূর্বপাশে হেলে পড়ায় ২০১৭ সালে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের প্রাণ রক্ষার্থে এবং অভিভাবকদের আতঙ্ক দূরীকরণে ২০২১-২০২২ইং অর্থবছরে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার দৌলতুর রহমান পরিত্যক্ত ভবনটি গুঁড়িয়ে দেন এবং তৎস্থলে নতুন ভবন বরাদ্দে উপরস্থ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানান। পরিতাপের বিষয় ওই আবেদন এবং স্থানীয় এমপিসহ একাধিক মহল থেকে তদবির করা হলেও এখনো বিদ্যালয়ের অনুকূলে কোনো একাডেমিক ভবন বরাদ্দ হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন পাটোয়ারী জানান, ২০১৭ সালে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ২২০জন। বর্তমানে এ সংখ্যা ১২০জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয়টির চলমান অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর আবেদন প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
কেকে/এমআই