গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতার নাম দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের আন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সাঘাটা বাজারে পল্টন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ (৫০), বাবু মিয়া (৩৮), আব্দুর রাজ্জাক মিয়া (৪০), সুমন দেব (৫০), সিরাজুল ইসলাম (৪০), পিন্টু মিয়া (৩০), ছাত্রদলের জাকিরুল ইসলাম (৩২), যুবদলের আনিছুর রহমান (৪০) ও স্থানীয় জামায়াতের আলমগীর হোসেন (৪৫), জাহিদুল ইসলাম (৪৮), শফিকুল ইসলাম শফিক (৪০), সাজু মিয়া, রুহুল আমিন, আসাদুল ইসলাম। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত রয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, সাঘাটা ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামে ইসলামী জলসায় প্রধান অতিথি গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাতকে বিএনপি'র পক্ষ থেকে নাম নাম না দেওয়ার জন্য বললেও আয়োজক কারী আব্দুল আজিজ পোস্টারে নাম দিয়েছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নেকাকর্মীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এরই জের ধরে জামায়াত ইসলামী প্রতিবাদ মিছিল বের করলে, পাল্টা বিএনপি ও মিছিল বের করে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেনাবাহিনী পুলিশ মোতায়েন হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, জামায়াত-বিএপি’র কর্মী সমার্থদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
কেকে/এমএস