৫ আগস্টের আগে দেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাঁনোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল। বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল যে শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ অন্য কোন ধর্মের মানুষের জন্য বসবাসের যোগ্য নয়। এমন মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিলেটে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, একসময় দেশে ইসলাম ছাড়া যে পরিমাণ ভিন্ন ধর্মের মানুষ ছিলেন, সেই হার এখন আর নেই। ইসলাম ছাড়া ভিন্ন ধর্মের মানুষের সংখ্যা অনেক কমেছে। শফিকুর রহমান আরও বলেন, ভিন্ন ধর্মের মানুষ কমে যাওয়ার দুটি কারণ রয়েছে। এরমধ্যে একটি হলো-যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা সম্মানের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্যটি হলো-হয়তোবা জন্মের হারে তারা পিছিয়ে রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘুষ্ঠ মানি না। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। ছোট্ট একটা দেশ আমাদের। আমরা শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধির মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’
সভায় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরের আমির ফখরুল ইসলাম, সিলেট ইসকনের স্বামী চন্দ্র মহানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মৃতঞ্জয় ধর ভোলা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেটের সভাপতি গুপিশ্যাম পুরকায়স্থ ও খ্রিস্টান চার্চের সহসভাপতি বিকন নিঝুম।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে কোনো সরকারের আমলে বাড়াবাড়ি কোথাও থামেনি। সেই বাড়াবাড়ির শিকার সুনির্দিষ্ট কোনো ধর্মের মানুষ হয়নি। সব ধর্মের মানুষকে এই বাড়াবাড়ির শিকার হতে হয়েছে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আগে দেশে দখলদারি-চাঁদাবাজি হয়েছে। এখনো হচ্ছে। শুধু ফ্ল্যাগ বদল হয়েছে। ডান হাত থেকে বাম হাতে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কেকে/এআর