কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদীর চর ও বেরীবাঁধ পাশ থেকে অবাধে মাটি কেটে নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। এপাশাপাশি ওই এলাকাকে মাদক কবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষার দাবিও করেন এলাকাবাসীরা।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার খলিলপুরে নদীর বাঁধের উপর এ মানববন্ধন হয়। এতে খলিলপুর, আশানপুর বালিবাড়ি চর, লক্ষীপুর, বারেরাচরসহ আশেপাশের কয়েক গ্রামের শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সমাজকর্মী শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেন, ফজলুল করিম, সুলতান আহামেদ সরকার, রুহুল আমিন, মুর্শেদা বেগম, জয়নাল আবেদীন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম সাকিল, আবু মুসা প্রমুখ।
বক্তব্যে মুর্শেদা বেগম বলেন, আমার বাড়ি বেরীবাঁধের উত্তর পাশে। গোমতী চরে আমাদের জমি আছে। এ জমিতে বছরের পর বছর ধরে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে খলিলপুর গ্রামের মাদক কারবারি হেলাল আহামেদ। এবছরও দিন-রাতে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মাটিকাটায় আমাদের জমিও নষ্ট হচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করায় হেলাল ও তার বউ আমাকে পিটিয়েছে। হেলালের বউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় আমার হাত ভেঙে গেছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, হেলাল গোমতী নদীর বাঁধ ঘেঁষে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বাঁধটি ধ্বসে যেতে পারে। তার বোনেরা আওয়ামীলীগ করার কারনে সে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এত বছর চরের মাটি লুট করেছে। আমরা এবছর গোমতী নদীর ভয়াবহতা দেখেছি। বাধ ভেঙ্গে যাবার আতঙ্কে নদীর দুইপাশের লাখো মানুষ নির্ঘুম কাটিয়েছি। তারপরও বাঁধ ভেঙ্গে বন্যায় ভাসতে হয়েছে। নদীর চর থেকে যদি এ ভাবে মাটি কাটে, তাহলে এ বিপদ কখনোই কাটবে না। এছাড়া হেলাল মাদক কারবার করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংস করছে। যুব সমাজকে মাদক থেকে বাঁচাতে এবং গোমতী নদীর চর ও বাঁধ রক্ষায় হেলালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
অভিযুক্ত হেলাল আহমেদ বলেন, এবছর মাটি কাটার সুযোগ নাই। জায়গায় ঠিক করার জন্য কয়েক গাড়ি মাটি কেটেছিলাম। এ বিষয়ে নিউজ করে কি হবে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মো. ইলিয়াস বলেন, গোমীর চরে প্রশাসনে নিয়মিত অভিযান হবে। আপনারা প্রশাসনকে তথ্য দেন। খলিলপুরের হেলাল মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এআর