সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু সুমি খাতুন (২২)। সুমির পিতা গঞ্জের আলীর বাদী হয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে রায়গঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে চক চান্দাইকোনা (নিশ্চিন্তপুর) গ্রামের আবু বক্কার সরকারের ছেলে আব্দুল হালিম সরকারের সাথে সুমি খাতুনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই নানারকম শারীরিক নির্যাতন ও মানষিক অত্যাচার করতেন আব্দুল হালিম ও তার পরিবার।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে তার হাত-পা বেঁধে বেধরক মারপিটের অভিযোগও পাওয়া যায়। ইতিপূর্বেও সে একাধিক বার মারপিটের শিকার হন। বিষয়টি তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমী দেন। সুমি খাতুন একই উপজেলার ঘুড়কা নতুন পাড়া গ্রামের গঞ্জের আলীর মেয়ে। ০৫/১২/২০২৪ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ৭টায় সুমি খাতুনের পিতার ফোনে, ফোন করে জানায় তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
এব্যাপারে সুমির খাতুনের স্বামী আব্দুল হালিম সরকার বাদি হয়ে রায়গঞ্জ থানায় ০৬/১২/২০২৪ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই ইয়াসিন আলী জানান যথাযথ তদন্ত করেও মেয়েটির কোন খোজ-খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পুলিশ তদন্ত করছে, অচিরেই মেয়েটি উদ্ধার হবে বলে জানান ঐ তদন্তকারী কর্মকর্তা।
১৮ দিনেও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু উদ্ধার না হওয়ায় সুমির পিতা গঞ্জের আলী বাদী হয়ে ১৯/১২/২০২৪ইং তারিখে সুমির স্বামী আব্দুল হালিম সরকার(৩০), আব্দুল হালিমের পিতা আবু বক্কার সরকার সহ ৫ জনকে আসামী করে রায়গঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে র্যাব-১২ তেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রায়গঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমার আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন এবং তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কেকে/এআর