কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় রক্ষণাবেক্ষণের শুরুর দুই মাসের মধ্যেই ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়কের কাজ বন্ধ করে সাব-ঠিকাদার উধাও হয়েছেন। এর ফলে অন্তত ১৫ গ্রামের ৩০ হাজার বাসিন্দা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (আরসিআইপি) অধীনে কাজটি বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ সালে প্রায় ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার চুক্তি করা হয়। তবে ৩০ জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার শর্ত থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৫ শতাংশ কাজ করেই প্রকল্পটি থেমে যায়।
সড়কটির খোয়া ও পিচ উঠে গর্ত এবং খানা-খন্দে ভরা ছিল। কাজ শুরুর পর রাস্তা খুঁড়ে রেখে সাব-বেজ ও পুরাতন ইট-পাথর উল্টে রাখার কারণে সড়কটি এখন পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী।
স্থানীয় বাসিন্দা নবাব বলেন, সড়কটির এমন অবস্থার কারণে অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এতে রোগী ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের চরম বিপদে পড়তে হচ্ছে।
মূল ঠিকাদার খায়রুল কবির রানা জানান, কাজটি সাব-ঠিকাদার আবু-শামাকে দেওয়া হয়েছিল। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর অহেতুক হয়রানির কারণে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, মূল ঠিকাদার কাজটি দুইবার সাব-ঠিকাদারকে দিয়ে হাতবদল করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আবু-শামা কাজ শুরুর পর কিছু না জানিয়েই কাজ বন্ধ করেছেন। কাজটির মাত্র ৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রধান ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দিলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
কেকে/এএম