নীলফামারী ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্না ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জন্য অপেক্ষা করছেন নীলফামারীসহ ডোমার ডিমলা-১ আসনের এলাকাবাসী।
বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা নীলফামারী-০১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের মানুষরা এখন অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।
ইতোমধ্যে তার নামে দায়ের করা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নীলফামারীসহ ডোমার ও ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। সরকার প্রধানের কাছে আহবান জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের সকল মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতির জন্য।
দলীয় নেতা কর্মীসহ সাধারন জনগণ বলছেন, প্রিয় নেতা তুহিন ভাই’র উপর নির্ভর করছে জেলার সবকিছু কারণ তার হাত ধরেই পরিবর্তন ঘটবে রাজনীতি ও উন্নয়নের চাকার।
তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অষ্টম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য না হয়েও ডোমার-ডিমলায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুতায়ন, নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণসহ ব্যাপক কর্মকান্ড সম্পাদন করেন তিনি। আমরা সে বিষয়গুলি সকল ভোটারদের মাঝে তুলে ধরার জন্য তুহিন ভাইয়ের পক্ষে সভা সমাবেশের ও প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি।
ডিমলা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন বলেন, তৃণমুলে দলকে শক্তিশালী করেছেন তুহিন ভাই। তিস্তা নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণ, গ্রোঁয়েন নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, ব্যাপক শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করেছেন তিনি। তিনি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন পক্ষপাতিত্ব করেননি। আমরা তুহিন ভাইয়ের পক্ষে প্রতিদিন বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ হতে সভা সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি।
ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রইসুল আলম চৌধুরী বলেন, তুহিন ভাই একজন সাদা মনের মানুষ। বিএনপিকে তিনি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি কিন্তু তার উন্নয়ন থেমে থাকেনি। তিনি যা উন্নয়ন করেছেন আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের সাথে মুল্যায়ন করলে অনেক বেশি। চরাঞ্চলের মানুষদের ভাগ্যের পরিবর্তনে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, অসংখ্য কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে তুহিনের কারণে। বিএনপির সময়ে যেভাবে উন্নয়নের গতি ছিলো আওয়ামী লীগের সময়ে সেটি আর এগোয়নি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন গণমানুষের নেতা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন মুঠোফোনে বলেন, আমি ডোমার-ডিমলার সকল মানুষের ভাগ্যন্নয়নে কাজ করতে চাই, অবহেলিত ডেমার ডিমলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আর সেজন্য প্রয়োজন সাধারন এবং সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন। ডোমার ডিমলার মানুষের কাছে আর কোন চাওয়া পাওয়া আমার নেই। আপনারা শুধু আমার পাশে থাকবেন। মনে রাখবেন জাতিগত সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা সবাই বাংলাদেশি।
উল্লেখ্য, প্রিয় নেতার বিরুদ্ধে সকল প্রহসনের মিথ্যে মামলা নিয়মতান্ত্রিকভাবে শেষ করে আগামী জানুয়ারী ২০২৫ ইং দেশে ফেরার আশু সম্ভাবনা রয়েছে।
কেকে/ এমএস