চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাবলা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে একদল দুর্বৃত্ত মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর এলকায় দোতলা ভবনের বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
নিহত বাবলা ওরফে উজ্জল চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খালাসির ছেলে। সে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ মতলব উত্তর, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর, শরীয়তপুর এলাকার নৌ ডাকাতি তার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। এসব অঞ্চলে নৌ ডাকাতিসহ এখানকার বালু মহলগুলো সেই নিয়ন্ত্রণ করতো বলে জানায় স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানায়, ‘মঙ্গলবার সকালে দুটি স্পিডবোড ও চিকন লম্বা দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে হেলমেট পরে ২২ থেকে ২৫ জন লোক বাবলার বাড়ির সামনে এসে নামে। দোতলা ভবনে ঢুকে তারা দুইটি রুম বাইরে থেকে আটকে দেয় যাতে ভেতর থেকে কেউ বের হতে না পারে। বাবলার রুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বাবলাকে গুলি করে হত্যা করে। মনে হয় তারা আগে থেকেই জানতো বাবলা কোন রুমে আছে এবং অন্যরা কোন কোন রুমে। বাবলাকে খুন করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা চার-পাঁচজনকে আটক করে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম বলেন, ‘মল্লিকের চর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বাবলার সঙ্গে অপর একটি গ্রুপের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল। অপর গ্রুপের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় স্থানীয় অপর গ্রুপটি গজরিয়া উপজেলারই মল্লিকের চরের কাছাকাছি গুয়াগাছিয়া অঞ্চলের।’
খোঁজ খবরে আরো জানা যায়- মতলব উত্তর, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদরে কোন বৈধ ইজারাদাররা বালু তুললেও তাকে নিয়মিত চাঁদা দিতো হতো। মুন্সিগঞ্জ সদর, গজারিয়া, মতলব উত্তর, চাদঁপুর, শরীয়তপুর এলাকার পদ্মা নদীতে তিনি গড়ে তোলেন সশস্ত্র ডাকাত চক্র।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এই বাবলা একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে গজারিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৩২টির মতো ডাকাতি ও চাদাঁবাজি মামলা রয়েছে। ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর এলকায় তাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সেখানে কাজ করছে।’
কেকে/এজে