ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার কারণে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া তিনটি গরু লুট করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আলগী ইউনিয়নের চরকান্দা গ্রামে আতিয়ার রহমান ভুলু মোল্লা (৭০) এবং রব মোল্লা (৭৫) নামে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আতিয়ার রহমান ভুলু মোল্লার দুই ছেলে, শামীম মোল্যা (৪২) এবং শাহীন মোল্যা (৩৬) ঢাকা ও ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর পক্ষের নারী সমর্থক সানু বেগম (৬০)ও আহত হন এবং গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে, তিনি মারা গেছেন।
এ ঘটনার পর রব মোল্যার সমর্থকরা অপরপক্ষের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বাড়ি ও দোকানেও হামলা হয়েছে। সৌদি প্রবাসী আবু মোল্যার স্ত্রী, নাদিরা বেগম অভিযোগ করেন, তার বসতঘর ভাঙচুর করে মালামাল, টাকা-পয়সা এবং তিনটি গরু নিয়ে গেছে।
এছাড়া, মালয়েশিয়া প্রবাসী ওমর আলী মোল্যা অভিযোগ করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে রব মোল্যার নেতৃত্বে তার দুই ভাতিজা শামীম ও শাহীনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পানির মধ্যে ফেলে রাখা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একই সময়ে রব মোল্যার সমর্থকরা তাদের বসতঘর ও দোকান ভেঙে চুরমার করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের সহিংসতা এবং লুটপাটের ঘটনা তাদের এলাকায় বারবার ঘটে আসছে। তারা দাবি করেন, প্রশাসন যেন দ্রুত এই সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকসেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম