মেরিনারদের কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য দেশী-বিদেশি শিপিং করপোরেশনগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামের ৫৮তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ (গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের মেরিনাররা বিভিন্ন দেশে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বাংলাদেশের মেরিন একাডেমির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে একাডেমির মাস্টার প্ল্যান হাতে নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, মেরিন একাডেমির কিছু বিল্ডিং সংস্কারের প্রয়োজন, এবং কিছু ডেভেলপমেন্ট করা হবে। ভবিষ্যতে একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
একাডেমির সিলেবাস ও সিলেকশন প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি মেরিনারদের আন্তর্জাতিক মানে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, তারা যাতে পরবর্তী মেরিনারদের জন্য সুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে ৫৮ ব্যাচের সর্বোচ্চ কৃতিত্ব অর্জনকারী ক্যাডেটদের পুরস্কৃত করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছেন সিনিয়র ক্যাপ্টেন সালমান, ২য় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত সিনিয়র ক্যাপ্টেন জিসানকে বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন পদক দেওয়া হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পদক পেয়েছেন ক্যাডেট ক্যাপ্টেন নুসরাত, সিনিয়র ক্যাপ্টেন মাহিরা, এবং অন্যান্য ক্যাডেটরা বিভিন্ন পদক অর্জন করেন, যেমন- বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন পদক, ইসমাইল শিপিং করপোরেশন পদক, সিলভার ম্যাডেল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের রোপ্য পদক।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে ৫৮তম ব্যাচের ২৩৮ জন ক্যাডেটকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
কেকে/এএম