চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝেরচর খালের মুখে নোঙর করা সারবাহী জাহাজ এমভি আল-বাখেরা-তে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জন কর্মচারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাহাজের বিভিন্ন কামরা থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে দুইজন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এবং একজন ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল, মাজেদুল ও জুয়েল। নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, বিকেলে ৯৯৯-এ কল পেয়ে নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পাঁচজনকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গলাকাটা অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হামলার সময় তারা ঘুমন্ত ছিলেন।
জাহাজে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় অন্যান্য কার্গো জাহাজের স্টাফরা জানান, মাঝে মাঝে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নজির নেই। তাদের দাবি, নদী পথের নিরাপত্তা জোরদারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
কোস্টগার্ডের চাঁদপুর স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ান জানান, পাঁচজনের লাশ এবং তিনজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
জাহাজ মালিক পক্ষের প্রতিনিধি মো. কামাল হোসেন বলেন, ওয়ারলেসের মাধ্যমে ঘটনার খবর পেয়ে তারা নিরাপদ স্থানে জাহাজ রেখে ঘটনাস্থলে যান।
কেকে/এএম