দেশের জাতীয় পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন জামায়াত-শিবির।
রংপুরে কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিঞার এমন বক্তব্যে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ বক্তব্য দেন। কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভের পাদদেশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যক্ষের বক্তব্যের এমন একটি ভিডিও ক্লিপ খোলা কাগজের হাতে এসেছে।
৭১'র সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের তুলনা করায় এর সমালোচনা করে অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা এসময় তার বক্তব্যে বলেন, এটা কখনো হতে পারে না। ৭১' এর মহান মুক্তিযুদ্ধ কোনো ছেলেখেলা বিষয় নয়। ৩০ লাখ রক্তের বিনিময়ে আমরা এই লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছি। আমাদের জাতীয় পতাকা কোনো রাজনৈতিক দলের পতাকা নয়। এটা বাংলার আপামর মানুষের পতাকা। কিন্তু এই পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন। সেই জামায়াত-শিবির আজ আমাদের পতাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে।আমরা বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে খেলা খেলবেন না।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষককে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে অধ্যক্ষের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
রংপুর মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি গোলাম জাকারিয়া খোলা কাগজকে বলেন, ৭১ আমাদের প্রেরণা এবং চেতনা। আর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান আমাদের অস্তিত্ব। কিন্তু বিজয় দিবসে কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ও জামায়াত ইসলাম নিয়ে যে বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য দিয়েছে তাতে তিনি যে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা তার প্রমাণ দিয়েছেন।
কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি তার নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার এক মামলায় নাম থাকলেও পরবর্তীতে তিনি তদবির করে নাম কাটিয়ে নেন।
এ বিষয়ে কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা খোলা কাগজকে বলেন, কোথায় কি বক্তব্য দিছি এটা নিয়ে এখন আর আমি কোনো কমেন্ট করতে চাচ্ছি না।আপনি এনমি সাক্ষাৎ করতে চাইলে সাক্ষাৎ করবো।
কেকে/এইচএস