সিলেটের বালাগঞ্জে ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু করেছে উপজেলা প্রশাসন। ক্রেতাদের হাতে ন্যায্যমূল্যে সবজি তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই বাজার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চাষিদের কাছ থেকে উৎপাদিত শাক সবজিসহ নানা ধরনের পণ্য কিনে এনে বিক্রি করা হচ্ছে এই দোকানে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) উপজেলা সদরের বালাগঞ্জ বাজারে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বালাগঞ্জর বাস্তবায়নে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিত কুমার চন্দ। বাজারে সকাল থেকেই মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, স্বেচ্ছাসেবীরা চাষিদের কাছ থেকে সবজি কিনে এনে বাজার মূল্য থেকে ১০ টাকা কম মূল্যে বিক্রি করছে। বাজারে আলুর কেজি ৬৫ টাকা হলেও ন্যায্যমূল্যের বাজারে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই ভাবে লাউ , সিম, গাজর , মূলা ,কাচা মরিচ, ফুলকপি ,কাচা পেপে, টমেটো , লেবু, পেঁয়াজ , বেগুন, ধনিয়া, রসুন ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন বাজার থেকে অন্তত ১০ টাকা কমে নানা ধরনের শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে এই দোকানে। সকাল থেকেই বাজারে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়। এতে বিক্রেতারা খুশি। তারা বলছেন, আরও দোকান এবং পণ্য বাড়ালে সুবিধা হবে। সপ্তাহের প্রতিদিনই ন্যায্য মূল্যের বাজার পরিচালনা করার দাবি জানান ক্রেতারা।
চানপুর এলাকার রাসেল জানান, এখান থেকে ১০ টাকা কম মূল্যে শাক-সবজি কিনতে পারছি। তবে আরও দোকানের প্রয়োজন আছে। আর সপ্তাহের প্রতিদিনই বাজার বসলে ভালো হয়।
উদ্দ্যোক্তা মোনাইম মিয়া বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে সবজি এনে আমরা এখানে বিক্রি করছি। এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিরিক্ত মুনাফা করতে পারছে না। কৃষকও ন্যায্য দাম পাচ্ছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষও কমদামে শাক-সবজি কিনতে পারছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিত কুমার চন্দ জানান, যেহেতু বালাগঞ্জে শাক সবজি কম উৎপাদিত হয়,তাই সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্যমূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে এবং দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি রোধ করতে, এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে ডিম দিয়ে শুরু করেছিলাম। চাহিদা, যৌক্তিকতা এবং উদ্যেক্তা পেলে এই বাজার আরও সম্প্রসারিত করা হবে।
কেকে/এএম