ভারতে বিএসএফের হাতে আটক ১৩ বাংলাদেশীর পরিচয় মিলেছে। আটককৃতদের মধ্যে ১০ জনের বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়। বাকি ৩ জন গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দা। ডাউকি পুলিশ ও বিজিবি জানিয়েছে ভারতে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতের ডাউকি পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র। একই সঙ্গে আজ সকালে বিজিবি’র পক্ষ থেকেও আটকদের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফখরুল ইসলামের ছেলে সাজু আহমদ (২০), গোয়াইনঘাট উপজেলার বারহাল গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে শামীম (২১), একই গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে হাবিব আহমদ (২২, জাফলং তামাবিল এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে নয়ন (১৯), জৈন্তাপুর উপজেলার মোস্তফা মিয়ার ছেলে সজিব (১৯), একই উপজেলার গুচ্ছগ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে মোবারক (১৯), ইলাল মিয়ার ছেলে আরিফ (১৯), দুলতিপুর গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (১৯), শ্রীপুর গ্রামের জামরুল মিয়ার ছেলে রুবেল (২৫), জৈন্তাপুরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে রুহুল (২০), গুচ্ছগ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে রনি (১৯) ও একই এলাকার বাসির মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৯)।
এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল এলাকার সোনাটিলা নামক সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৩ বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সে সময় এ বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য দিতে পারেনি বিজিবি-পুলিশ। ঘটনার দুইদিন পর বুধবার সকালে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে ২৩ ডিসেম্বর ভোররাত ৪টার দিকে বাংলাদেশের তামাবিল এলাকার বিপরীতে ভারতের ডাউকি এলাকার আনুমানিক ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ১৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদেরকে ডাউকি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে গ্রেফতারকৃতদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে বিজিবিকে কোনো তথ্য জানায়নি বিএসএফ।
কেকে/এমএস