মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫,
৯ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলা English

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
শিরোনাম: বিতর্কিত এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দিনকে অব্যাহতি      পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব ঢাকা গড়তে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন      বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ও বিডার আশ্বাস      সাতক্ষীরায় দুধ কিনতে না পেরে মাত্র ২০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি      খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন      ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা      হাতিরঝিলে অবৈধ পকেট গেট বন্ধের নির্দেশ রাজউক চেয়ারম্যানের      
আইন-আদালত
অভ্যুত্থানের দুই হত্যা মামলায় সালমান এফসহ ৩ জনকে অব্যাহতির চেষ্টা
প্রকাশ: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৫০ পিএম আপডেট: ২৫.১২.২০২৪ ১:৫৬ পিএম  (ভিজিটর : ১৯৩)
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন পুলিশের একজন তদন্ত কর্মকর্তা। অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকেও। তবে আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। আবার তদন্ত করা হচ্ছে।

নথিপত্র ও পুলিশ সূত্র বলছে, তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর ডিবির পরিচয় গোপন করে থানা–পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালতে জমার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নেননি। বিষয়টি জানাজানির পর তিনি অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আনিসুল হক ও সালমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল সবুজ মিয়া ও মো. শাহ-জাহান মিয়া হত্যা মামলায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় সবুজকে মারধর করে ও শাহ-জাহানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন নিউমার্কেট থানায় মামলা হয়। সবুজের চাচাতো ভাই মো. নুরনবী ও শাহ-জাহানের মা আয়শা বেগম মামলার বাদী হন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট আনিসুল ও সালমানকে আটক করে এই দুই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ১৬ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াকে।

মামলা দুটির তদন্ত করছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ। তিনি গত ২৩ অক্টোবর দুই মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। নথিতে দেখা যায়, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নিজেকে তিনি নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক পরিচয় দিয়েছেন। যদিও তিনি কর্মরত ডিবিতে।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মামলা দুটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার চেষ্টার আগে তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ সাক্ষ্য–স্মারকলিপিতে (মেমো অব এভিডেন্স বা এমই) ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সই নেননি। তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ডিবি থেকে কোনো মামলায় অভিযোগপত্র বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য–স্মারকলিপিতে তদন্ত–তদারক কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশাসন), উপকমিশনার এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কমিশনার ও ক্ষেত্রবিশেষ কমিশনারের সই লাগে। জাহাঙ্গীর আরিফ কর্মকর্তাদের সই নেওয়া এড়াতে নিজেকে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক বলে উল্লেখ করেছেন।

দুটি হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া এবং আনিসুল ও সালমানকে অব্যাহতির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটিতে রয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ। বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি। ডিবি সূত্র বলছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর আরিফ দাবি করেছেন, তিনি অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের (এখন এপিবিএনে কর্মরত) নির্দেশে কাজটি করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এডিসি সানজিদা গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ রকম আলোচিত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্তের এখতিয়ার তাঁর নেই।

আনিসুল ও সালমানকে অব্যাহতির চেষ্টার ঘটনাটি জানার পরই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেছেন ডিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি গত রোববার বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফকে রোববার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবির রমনা অঞ্চলের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলামকে। যদিও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। মনিরুল বলেন, তিনি তদন্ত করছেন এবং জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

লোহাগাড়া থানা থেকে অস্ত্র লুটের মূলহোতা গ্রেফতার
‘আমার লজ্জা নেই’ পোশাক-চেহারা বিতর্কে যা বললেন বিদ্যা
ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানা ঘেরাও, বিক্ষোভকারীদের ওপর বিএনপির হামলা
ধানক্ষেতে বন্যহাতির তাণ্ডব, নির্ঘুম রাত কাটছে সীমান্তবাসীর
শ্রীমঙ্গলে ‘তথ্য কেন্দ্র ও ব্রেস্ট ফিডিং রুম’ এর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন

সর্বাধিক পঠিত

কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সাবেক মেয়র তফাজ্জলের বিরুদ্ধে
মতলব উত্তরে আ. লীগের কার্যালয় দখল, সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি
কাউনিয়ায় আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক হান্নান গ্রেফতার
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার অভিযুক্ত
ত্রাণের চাল বিতরণ না করে গুদামজাত, সেই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

আইন-আদালত- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close