হাওরের রাজধানী খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জে আমন ফসল ঘোলায় তোলার কাজ সম্পন্ন করে বোরো ফসল আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা। পৌষ মাসের শুরু থেকেই উপজেলার দেখার হাওর, খাই হাওর, জামখলার হাওর, পাখিমারা হাওরসহ সকল হাওর ও আবাদি জমিতে বোরো ফসল চাষাবাদের মহাযজ্ঞ শুরু হয়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও অধিক দামে বীজ কিনে চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাওরের যেসব এলাকায় পানি কমে রোপনের উপযুক্ত হয়েছে সেখানেই একাধিক শ্রমিক নিয়ে চারা রোপন করা হচ্ছে। তবে বীজ ছাড়াও ডিজেল, শ্রমিকের বাড়তি মজুরী, সারসহ সবকিছুর দাম বাড়তি হওয়ায় খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
তবে কৃষকদের সহায়তায় উপজেলার ৫ হাজার কৃষকের মাঝে ১০ হাজার কেজি হাইব্রিড জাতের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব। কৃষকদের সহযোগীতায় কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের ২২ হাজার ৬'শ ১২ হেক্টর জমিতে বোরো ফসল আবাদ হবে। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধানের চারা রোপন হবে ৮ হাজার ৫'শ ১০ হেক্টর জমিতে এবং উফশী ধানের চাষ হবে ১৩ হাজার ৯'শ ৯৯ হেক্টর জমিতে। এছাড়া স্থানীয় জাতের চারা রোপন করা হবে ১'শত ৩ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি অফিস আরো জানায়, চাষকৃত জমি থেকে চলতি মৌসুমে ৯৪ হাজার ৮'শ ৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪'শ ৭৪ কোটি টাকারও বেশি।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফসল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে যেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব।
তিনি বলেন, ‘কৃষকদের বোরো ফসল যথাসময়ে ঘরে তুলতে উপজেলা কৃষি অফিস সব ধরনের সহযোগীতা করে আসছে। কৃষকদের মাঝে ১০ হাজার কেজি হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। মাছের লোভে বিল, জলাশয়ের পানি আটকিয়ে ফসল চাষে বিলম্ব করার অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থ গ্রহন করা হবে।’
কেকে/এমএস