শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫,
২৭ পৌষ ১৪৩১
বাংলা English

শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: ক্ষমতার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাড়ছে রাজনৈতিক অনৈক্য      বাড়তি ব্যয় চাপছে ভোক্তার ঘাড়ে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরাও      পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম      শমী কায়সারের ব্যাংকের সবধরনের হিসাব তলব      যানজটের কারণে জনগণের কাছে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ      লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন      ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি      
গ্রামবাংলা
আধুনিক প্রযুক্তির কারনে বিলুপ্তির আশঙ্কা তাঁতশিল্পের
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:২৬ পিএম  (ভিজিটর : ১০৪)
তাঁতের কাজ করছেন আবুল কাশেম। ছবি: প্রতিনিধি

তাঁতের কাজ করছেন আবুল কাশেম। ছবি: প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা একসময় তাঁতশিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। এই উপজেলার রুপসদী গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল সম্ভাবনা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাওয়ার পথে সেই ঐতিহ্য ও সম্ভাবনার দুয়ার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সুতাসহ তাঁত শিল্পের সব উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাঞ্ছারামপুরের তাঁত শিল্প বিলুপ্তির পথে। শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গে নবীনগরের তাঁত শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল।

প্রায় ৩৫ বছরের মতো তাঁতের কাজ করছেন আবুল কাশেম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তাঁতশিল্পের সোনালি অতীতের নীরব সাক্ষী তিনি। একসময় এই অঞ্চলে তাঁতের কাজ জানা মানুষের বেশ কদর ছিল বলে জানান তিনি। এই কাজ না জানলে বিয়ে দিতে চাইতেন না মেয়ের অভিভাবকরা।

ফরিদ মিয়া হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে বলেন, ‘তাঁতের কাম পারতাম বিধায়, কত মাইয়ার বাপ বিয়া দেওনের লাইগা ঘুরছে।’

এ শিল্পের উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি, গামছাসহ নানা পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তবে এ শিল্পে সুতাসহ উপকরণের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় উৎপাদিত পণ্য বাজারে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁত শিল্প মালিকদের।

এ কারণে জেলার অধিকাংশ তাঁত শিল্প বন্ধের দ্বারপ্রান্তে। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেক কারখানা মালিক এই শিল্পকে বন্ধ করে বিকল্প কোনো ব্যবসা বেছে নিচ্ছেন।

তাঁত কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, অন্য কোনো কাজ না জানার কারণে তাঁত কারখানায় কাজ করি। এখন তাঁতের কাপড়ের বাজারের যে অবস্থা তাঁতে মহাজনরা লোকসান দিয়ে বেচাকেনা করে আমাদের মজুরি দেয়।

এভাবে কতদিন লোকসান দেবে মহাজনরা? ঠিক মতো বেচাকেনা না থাকলে আমাদের মজুরি দিতে পারবে না। আর মজুরি না পাইলে আমাদের ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।

সরকার যদি তাঁত শিল্পের প্রতি সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয় তাহলে আমাদের মহাজন/তাঁত শিল্প মালিকদের ক্রয়-বিক্রয় ভালো হবে। তা না হলে তাঁত শিল্প চীরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।

এ শিল্প বন্ধ হলে আমরা কি করে জীবিকা নির্বাহ করব। এখন প্রতি সপ্তাহে ২হাজার টাকা আয় করতে হিমশিম খেতে হয়।

বর্তমানে লুঙ্গী শিল্পে এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছ আমানত শাহ গ্রুপ। আমানত শাহ লুঙ্গী এখনো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
 
এর মালিক বাঞ্ছারামপুরের সন্তান আলহাজ্ব হেলাল মিয়ার শুরুটা কিন্তু বাঞ্ছারামপুরের রুপসদীতে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠান আধুনিক প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল।

এদিকে তাঁত মালিকরা জানান, সুতাসহ উপকরণের মূল্য নির্ধারণ করে এবং স্বল্প সুদে ঋণ দিলে এ শিল্প সচল করা সম্ভব হবে। তাই সরকারের কাছে জোর দাবি, সুতাসহ উৎপাদনের উপকরণের দাম নির্ধারণ করে আমাদের এ ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সহযোগিতা করুন, নতুবা এক দিন আমাদের এই শিল্প বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

উপজেলার একটি হস্তচালিত তাঁত কারখানার মালিক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘হাতে বোনা তাঁতের যুগ এখন শেষ বললেই চলে, তাদের মজুরি দিয়ে ব্যবসায় পোষায় না আমাদের, আধুনিক যন্ত্রে কাজ চলায় কোনো রকমে টিকিয়ে রাখতেও কষ্ট হচ্ছে এই কারখানা, যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে হাতে বোনা তাঁতের কাজ।’

কেকে/এমএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

জাল টাকার নোট দিয়ে পান-সিগারেট কিনতে গিয়ে আটক যুবক
জীবননগর সীমান্তে ৬৬লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার
নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
অভিনেত্রী নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ
তীব্র শীতে কাপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন ৮.৫ ডিগ্রি

সর্বাধিক পঠিত

নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
লামায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার
পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম
গঙ্গাচড়ায় বাংলাদেশ স্কাউটসের ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত
বিদ্যুৎ না থাকলেও মিটারে বেশি বিল আসার কারণ জানাল বিএন্ডটি

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝