সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল, যেন মাঠ হাসছে হলুদের সমারোহে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মধু চাষিরাও ব্যস্ত মধু সংগ্রহে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এবছরে উল্লাপাড়ায় সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। সরিষা ক্ষেতের চোখ জোড়ানো হলুদ ফুল আকৃষ্ট করছে মৌমাছিদের। এ অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি সরিষা ক্ষেতের পাশে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মৌ-খামারীরা বসিয়েছেন মৌমাছির বাক্স। মধু চাষের বেশকিছু পদ্ধতির মধ্যে ফুল আসার সময় সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করা একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি।
সলঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল বারীক বলেন, এবার এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসালে পরাগায়নের ফলে সরিষার উৎপাদন বাড়ে। এবার ভালো ফলন হলে ৮-৯ মণ সরিষা পাবো বলে আশা করছি।
উত্তরবঙ্গ মৌ-চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা মৌ-ফার্মের পরিচালক শিশির কুমার সাহা বলেন, উপজেলার বাগমাড়া এলাকায় সরিষার মাঠে মৌমাছির বাক্স বসিয়েছেন তিনি। প্রতি বছরের মতো এবারও তিনি ১০০টির উপরে বাক্স স্থাপন করেছেন। এসব বাক্স থেকে এক সপ্তাহ পর পর মধু আহরণ করা হবে। এসময়ে একেকজন মৌচাষি গড়ে দুই থেকে আড়াই টন মধু আহরণ করতে পারে। এবার সরিষার গাছে ফুল বেশি আসায় মধু আহরণ ভালো হবে বলে আশা করছি। মধু সংগ্রহের সময় সহজ শর্তে ঋণ এবং সরকারিভাবে মধু বিক্রির ব্যবস্থা থাকলে আমরা আরও লাভবান হতে পারবো। শুধু তাই নয় সরকারি ভাবে সহযোগিতা পেলে উৎপাদিত মধু বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে মৌ-খামারীরা আসছেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। তারা নিজেদের পছন্দসই জায়গায় খামারের বাক্স বসাচ্ছেন। গত বছর এ উপজেলায় ১২৫টি মৌ-খামার বসেছিলো। এবার উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ২ হাজার মৌ-বাক্স বসেছে। এ বছর মধু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৫৫ কেজি।
কেকে/এমআই