বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫,
২৬ পৌষ ১৪৩১
বাংলা English

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম      শমী কায়সারের ব্যাংকের সবধরনের হিসাব তলব      যানজটের কারণে জনগণের কাছে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ      লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন      ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি      ভারতীয় জেলেদের সাথে দুর্ব্যবহারের তথ্য ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়      অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন: সাইফুল হক      
খোলাকাগজ স্পেশাল
নাশকতায় দগ্ধ সচিবালয়
আলতাফ হোসেন
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:২৮ এএম আপডেট: ২৭.১২.২০২৪ ১২:৩৩ পিএম  (ভিজিটর : ৭২)
সচিবালয়ে আগুন | ছবি: প্রতিনিধি

সচিবালয়ে আগুন | ছবি: প্রতিনিধি

দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। সেখানে ঘটেছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এটা দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত, সে বিষয়টি এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

অনেকেই বলছেন, সচিবালয়ের মতো এমন সুরক্ষিত জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি সুপরিকল্পিত। পতিত আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রও বলছেন অনেকেই। ফলে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে উদ্বেগ, শঙ্কা ও সন্দেহসহ নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সচিবালয়ের প্রতিটি কক্ষ তালাবদ্ধ থাকার পরও আগুন ছড়িয়ে পড়া এবং একই ভবনের দুই প্রান্তে একসঙ্গে আগুন লাগা কোনো সাধারণ ঘটনা নয় এমনটাই মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো অনেক ঘটনার ধারাবাহিকতা সচিবালয়ের এই অগ্নিকাণ্ড। মধ্যরাতে সচিবালয়ে আগুন দেশ ধ্বংস করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। বিগত আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া সমর্থক গোষ্ঠী এবং অনেক নেতাকর্মী পালিয়ে গিয়ে বিদেশ থেকে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ঢাকতে পরিকল্পিতভাবে নথিপত্র পোড়ানোর চেষ্টা হতে পারে এ অগ্নিকাণ্ড।

বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আমলাদের একটা বড় অংশ। এই আমলাতন্ত্র আর ক্ষমতার অপব্যবহার দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। যারা দেশ চালানোর দায়িত্বে তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের স্বার্থে জনগণের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে চলেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে পতিত আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া সহযোগী সচিবালয় কর্মকর্তাদের যোগসাজোশ থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ।
 
সম্প্রতি হাসিনা ও দেশ-বিদেশে তার পরিবারের সদস্যদের মেগা দুর্নীতির খবর বিশ্বব্যাপী প্রচার হয়েছে। সেগুলোর আলামত নষ্ট করার জন্যেই এই ঘটনার অবতারণা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগুনের ধরন-অবস্থান এবং দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতি, এর আগে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি তেলের জাহাজে আগুনের ঘটনা বিবেচনায় সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতা ছাড়া আর কিছু মনে করছেন না তারা।  

অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত অভিজ্ঞদের অনেকেই বলেছেন সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে রয়েছে নাশকতার ছক। ‘পরিকল্পিতভাবে কেউ হয়ত আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে’ এমন ধারণা করছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম। বিষয়টি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘এ আগুনের ঘটনাটি ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা, কিংবা এর পেছনে নাশকতা আছে কি না- তা তদন্তের পর বলা যাবে।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসে রাত ১টা ৫২ মিনিটে খবর দেওয়া হয়, তারা ১টা ৫৪ মিনিটে কাজ শুরু করে। সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটারের একজন মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি পাইপ নিয়ে সচিবালয় থেকে বের হয়েছিলেন এ সময় একটা ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। তার সঙ্গে আরো দুই থেকে তিনজন আহত হয়েছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।’

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিত। সচিবালয়ে যেভাবে আগুন লেগেছে এবং এটার ধরন, অবস্থান যেমন- এটা কখনোই সাধারণভাবে বা ন্যাচারালি বা কোনো দুর্ঘটনাবশত হতে পারে না। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, ষড়যন্ত্র করে, প্ল্যান (পরিকল্পনা) করে আগুন লাগানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যারা সরকারে প্রতিনিধিত্ব করছে, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ; তাদের অফিসগুলো জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে গেছে। সেখানে খুনি শেখ হাসিনার দালালদের বিভিন্ন সময়ের অন্যায়, অপকর্ম, দুর্নীতির ফাইলগুলো ছিল। এই ফাইলগুলো তারা যখন বিভিন্নভাবে তদন্ত করছিল, ফাইলগুলো সংরক্ষণ করছিল বিচারের জন্য, ঠিক তখনি সচিবালয়ে এ রকম একটি পরিকল্পনা করে অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’

সরকারের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘আসলে এত বড় অভ্যুত্থানের পরে আমাদের যেই বিপ্লবী ভূমিকায় থাকা উচিত ছিল, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেই বিপ্লবী ভূমিকায় থাকা উচিত ছিল, আমরা এখন পর্যন্ত সেটা হতে পারিনি। আমরা আসলে বেশি ভালো সাজতে গিয়েছি, সুশীল হতে গিয়েছি, সুযোগ দিতে গিয়েছি। কিন্তু যাদের রক্তে দালালি, যাদের রক্তে দাসত্ব, যারা এত বছরের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে আপনি যতই সুযোগ দেন কোনো লাভ নেই।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘সুশীলগিরি ছেড়ে দোসরদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আসেন। স্বৈরাচারের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচান। দেশের জনগণকে বাঁচান।’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি এই অনুরোধ করেন।

পোস্টে হাসনাত লেখেন, ‘৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পরে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রথমে জুডিশিয়াল ক্যুর চেষ্টা করা হলো। ছাত্ররা মাঠে নেমে সেটা রুখে দিলো। লীগ যখন আনসার হয়ে ফিরে আসছিল, এই ছাত্ররাই তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মাঠে নেমেছে। এনসিটিবিতে বই না ছাপিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র হলো, সেটাও ছাত্ররা প্রতিহত করল।’ তিনি আরো লেখেন, ‘ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা শেখ হাসিনার দোসরদের অপসারণ করে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। কিন্তু সুশীলগিরি দেখিয়ে সরকার সেটি না করার পরিণতি গতকাল রাতে আমরা পেলাম। সরকারের কাছে অনুরোধ সুশীলগিরি ছেড়ে দোসরদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আসেন।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ খান বলেন, ‘এটা নাশকতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগুনটা শর্ট সার্কিট থেকে হলে একসঙ্গে ৩-৪ জায়গায় লাগার কথা না। দুর্বৃত্তায়নে লাগানো আগুনেই এমনটা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি ভোররাত থেকে এই আগুন ফলো করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা স্যাবোটাজ। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে এটা লাগানো আগুন, শর্ট সার্কিটের আগুন কখনো এভাবে লাগে না। এরমধ্যে কাল তো সচিবালয় বন্ধ ছিল। সুতরাং সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়ে যাচ্ছে।’

স্ট্যান্ডার্ট গার্মেন্টসে লাগা আগুনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা যখন আগুন লাগায় তখন একসঙ্গে একাধিক স্থানে আগুন লাগে। এমন দুর্বৃত্তায়নের আগুন দেখেছি। এখানেও (সচিবালয়) তাই হয়েছে। এটা শর্ট সার্কিট না, আগুন লাগানো হয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ বলেন, ‘এই আগুন স্যাবোটাজ, অবশ্যই এটা সন্দেহের শুরুতে রাখতে হবে। সচিবালয়ের চারটা ফ্লোরে আগুন, যেখানে চারটা কমিশন চলছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের নথিপত্রের প্রয়োজন হবে। এই আগুনের টার্গেটই হচ্ছে সেই গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া।’

আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ বলেন, ‘এখানে তো বাইরের লোক ছিল না। ওখানে তো শুধু ওখানকারই লোকজন ছিল। এত রাতে আগুন লাগল। সেখানে তো ফায়ার প্লান্ট থাকার কথা। যে ভবনে আগুন লাগছে সেখানে কারা নিয়োজিত ছিল? ফায়ার সার্ভিসের কারা ছিল। ফায়ারের ইকুইপমেন্ট কাজ করেছে কি-না? এসব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করতে হবে। আগুন যদি ছয় তলাতে হয়। সেটা কিন্তু রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমেও কোনো কিছু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে করা হতে পারে। ড্রোন ব্যবহার কিংবা মানুষ ঢুকছিল কি-না সেটার আলামত খুঁজতে হবে। এটা স্যাবোটাজ না এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।’

সরেজমিন দেখা যায়, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ছিল অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, সড়ক পরিবহন সেতু বিভাগ। ভবনের পাঁচ থেকে নয় তলা পর্যন্ত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতর বুধবার রাতের আগুনে পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পুড়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরও কিছু অংশ। বেঁচে যাওয়া রুমগুলোতে অসংখ্য কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ভবনটির নিচে পড়ে আছে মরা কবুতর। এদিকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলা হলেও কার্যত প্রায় ১০ ঘণ্টা লেগেছে আগুন পুরোপুরি নেভাতে।

নিরাপত্তাকর্মী জামাল মিয়া বলেন, আগুন কীভাবে লাগলো আমরা বুঝতে পারিনি। হঠাৎ ভবনের মাঝখানে আগুন দেখেছিলাম। পরে দেখলাম পশ্চিম পাশ জ্বলছে এরপর দেখলাম আবার পূর্ব পাশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকেও আগুন লেগেছে। মূলত তিন স্পটে আলাদাভাবে আগুন লেগেছে। জামাল বলেন, সাধারণ শর্ট সার্কিটের আগুন হলে এক দিকে লাগবে এরপর ছড়াবে। কিন্তু তিনটি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার কারণ বুঝতে পারলাম না। সিঁড়িতেও আগুন দেখেছিলাম। পরে আমরা কেউ উপরে যেতে পারিনি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাই উপরে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে শুধু বৈদ্যুতিক সাব স্টেশনের চাবি ছিল। বাকি সব চাবিগুলো ছিল পুলিশের কাছে। তারাই এসব গেট খোলে।

ফায়ার সার্ভিসের একাধিক সদস্য বলেন, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের পদে পদে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সচিবালয়ের দরজা দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের দুটি টার্নটেবল লেডার (টিটিএল) ভেতরে ঢুকতে পেরেছে। যদি আরো বেশি টিটিএল ঢুকতে পারত, তাহলে আরো আগে আগুন নেভানো সম্ভব হতো। আর ভবনের ভেতরের জায়গাও অনেক সরু। যে কারণে পানির সংযোগ দিতে দেরি হয়েছে।

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও উৎস খুঁজে বের করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নাসিমুল গণির নেতৃত্বে ৮ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি করার তথ্য জানানো হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান খান, পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মনজুর, সশস্ত্র বাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসেবে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রাসেল, বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইয়াছির আরাফাত খান, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াসির আরাফাত। কমিটির সদস্য সচিব ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। এছাড়া সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ২টি অফিস আদেশ জারি করা হয়।
 
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এরপর সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি সদস্যদের।

কেকে/এমএস

আরও সংবাদ   বিষয়:  নাশকতা   দগ্ধ   সচিবালয়  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম
শমী কায়সারের ব্যাংকের সবধরনের হিসাব তলব
হাত বাড়ালেই মিলছে বাণিজ্য মেলায় নিত্যপন্য
সিলেটে জুয়েলারি দোকান থেকে আড়াইশ ভরি স্বর্ণ চুরির অভিযোগ
যানজটের কারণে জনগণের কাছে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ

সর্বাধিক পঠিত

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর, রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা
গঙ্গাচড়ায় বাংলাদেশ স্কাউটসের ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত
লামায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার
মতলব উত্তরে বিএনপি নেতার মৃত্যুতে তানভীর হুদার শোক
তাড়াশ উপজেলা পরিষদ ভবনের ছাদে ইউএনও’র শখের বাগান ‘বিলকুঞ্জ’

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝