জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলামকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল হোসেন ফকিরের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় জাহিদুলকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মাত্রাই হাটে জনসম্মুখে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মামুনুর রশিদ, বাদেশ, বাদশাহ ও রুবেলসহ ১০/১২ জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২১ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কালাই থানা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন ফকির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে আয়োজক ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী নাজমুল হোসেন ফকির। এমন তথ্য সাংবাদিকদের জানান মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম। ওই সংবাদে জাহিদুলের বক্তব্য প্রকাশ পায়। এই ঘটনার জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় কালাই থানা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেনের মদদে আওয়ামী লীগ কর্মী নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে ‘আ.লীগ নেতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির আহ্বায়ক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে আমার বক্তব্য প্রচার হয়। এতে সাংগঠনিক ভাবে চাপের মুখে পরেন ইব্রাহিম হোসেন। বিষয়টি ইব্রাহিম হোসেন আওয়ামী লীগ কর্মী নাজমুলকে জানান। এতে উত্তেজিত হয়ে নাজমুল তার দলবল নিয়ে জাহিদুলকে আক্রমণ করে বেধড়ক মারপিট করে। এই ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় তিনি জীবননাশের আতঙ্কে আছেন বলেও জানান।
অভিযুক্ত নাজমুল হোসেনের দাবি, জাহিদুলকে মারার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
কালাই থানা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মারামারির বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে আমাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সত্য নয়।
এ বিষয়ে কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হোসেন জানান, সন্ধ্যায় মাত্রাইয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।
কেকে/এমআই