রাউজান পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জালালাবাদ জেএল-৬ এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত আরিফ রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহেদের খীল গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
অপহরণকারীরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে জানিয়ে অপহৃত আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী সৈয়দা হালিমা বেগম বলেন, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আমার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আমার সাথে সর্বশেষ রাত পৌনে ৯টায় কথা হয়। এর পর থেকে উনার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। অনলাইনেও পাচ্ছিলাম না। আমি আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে রাতে আর সন্ধান পায়নি।
তিনি বলেন, পরদিন ভোরে আমার স্বামীর স্মার্ট ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন আসে। রিসিভ করলে আমার স্বামীর পাশে আছেন জানিয়ে অপরিচিত এক ব্যক্তি কথা বলেন। তিনি আমাকে জানান, আপনার স্বামী বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন, এখন আমার হেফাজতে আছে। কিন্ত আমাকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। আমি পুনরায় আমার স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে অন্য এক নম্বরে ফোন করে সংযোগ রেখে আমাকে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়েছে আমার স্বামীর সারাসরি কথা বলেনি, অন্যজনের মোবাইলের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাকে সকাল ১১টার মধ্যে টাকা জোগার করতে সময় দেন, যোগার করতে না পারায় পরে দুপুর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার-দেনা করে জোগার করার কথা জানালে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর আমি চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে নিখোঁজ উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করে ফিরে আসতে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। কেউ নিখোঁজ হলে নিখোঁজ ডায়েরি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অপহরণের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
কেকে/এমআই