২৫ ডিসেম্বর কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট জে২-৮২৪৩ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তাদের মতে, বিমানটি ‘বাহ্যিক প্রভাবে’ বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে ঠিক কী ধরনের প্রভাব ঘটেছে, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি তারা।
বিমানটি আজারবাইজান থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার রাজধানী গজনিতে যাচ্ছিল। গজনি বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশার কারণে অবতরণ সম্ভব না হওয়ায় এটি কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের দিকে ঘুরে যায়। তবে আকতাউয়ের রানওয়ের মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৮ জন নিহত হন এবং ২৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ওঠে যে, রুশ সেনাদের ছোড়া প্রতিরক্ষা মিসাইলের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হতে পারে। তবে আজারবাইজান এয়ারলাইন্স এ বিষয়ে কোনো সরাসরি মন্তব্য করেনি।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, গজনির আকাশে থাকার সময় তারা শক্তিশালী শব্দ শুনতে পান।
শুভোনকুল রাকিমোভ নামে এক যাত্রী বলেন, শব্দের পর আমি ভেবেছিলাম বিমানটি ভেঙে যাবে। প্রার্থনা শুরু করি এবং জীবনের শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। বিমানটি নিশ্চিতভাবে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ভাফা সাবানোভা নামে আরেক যাত্রী জানান, প্রথম শব্দের পর দ্বিতীয়বার শব্দ হলে তিনি খুবই ভীত হয়ে পড়েন। কেবিন ক্রুর নির্দেশে বিমানের পেছনে গিয়ে বসেন।
কেবিন ক্রু জুলফুগার আসাদোভ জানিয়েছেন, গজনিতে অবতরণ করতে না পারার পর পাইলট বারবার চক্কর দেন। এ সময় বাইরে শক্তিশালী শব্দ শোনা যায় এবং বিমানের ভেতরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে। বাহ্যিক প্রভাব ও সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে রুশ মিসাইলের আঘাত বা অন্য কোনো বাহ্যিক হামলার বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
কেকে/এএম