দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের (ডোমটারি ) এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে থানায় অভিযোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজনের অতর্কিত হামলায় স্কুলছাত্রসহ ৭ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিপক্ষের এ হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার খামার পাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব ইলিয়াসের ছেলে গোলাপ হোসেন (৩৬) ও মমিনুল হক (৫৩), গোলাপের ছেলে ৫ম শ্রেনীর ছাত্র আতিক হাসান (১১), মমিনুল হকের ছেলে মুঈন (২০) ও নাঈম (২২), মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে শাহিনুর (৪৫) ও তার স্ত্রী রায়হানা (৩৫)।
গুরুতর জখমিরা খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে গোলাপ হোসেন (৩৬) এর চোঁখের নিচে/ গালে চোট দেয়ার জন্য ২ টি সেলাই দেয়া হয়েছে এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, গুরুতর জখমি আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আতিক হাসানের মাথায় আঘাতের জন্য ৪ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে, শাহিনুরের নাকে রয়েছে চোট! দেওয়া হয়েছে ২ টি সেলাই, মুঈনের কপালেও প্রতিপক্ষরা দিয়েছে চোট! তাকেও দেয়া হয়েছে ৪ টি সেলাই, মমিনুলের হাতের আংগুল দিয়েছে কেটে! দেওয়া হয়েছে ১ টি সেলাই, এছাড়াও নাঈমের কপালের দেয়া হয়েছে বাড়ি ফেটে গিয়েছে কিন্তু সেলাই প্রয়োজন পড়েনি আর রায়হানা নামের একজন মহিলাকেও দেওয়া হয়েছে কিল-ঘুসি ও করা হয়েছে বিবস্ত্র।
এ ব্যাপারে জখমি অবস্থায় চিকিৎসাধীন শাহিনুর বলেন, আমি অনেকদিন ধরে আমার শশুরের ১ টি জমি বন্দক খাই সেই জমিতে আমি একপাশে আলু আর একপাশে কলা গাছ লাগিয়েছি কিন্ত প্রতিপক্ষ রাজিব গং এক রাতের মধ্যেই আমার সেই জমিতে ঘর তুলে পরে আমি গিয়ে দেখার পরে সকালের দিকে থানায় একটি অভিযোগ করি। সেদিনেই দুপুরের দিকে তদন্তের জন্য থানা থেকে পুলিশ আসে এবং তদন্ত করে চলে যায়। পরবর্তীতে বিকেলের দিকে আমি থানায় অভিযোগ করার কারণে প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাকেসহ আরও ৬ জনকে রক্তাক্ত জখম করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
১১ বছরের ৫ম শ্রেনীর স্কুলছাত্র আতিক হাসান জানায়, মারামারির সময় আমি আমার বাবাকে রক্ষার জন্য গেলে রাজিব আমার মাথায় অনেক বড় একটি হাসুয়া দিয়ে চোট দেয়। এতে আমার মাথা থেকে খুব ব্লাড বের হয়েছে। ৪-৫ সেলাই দেয়া আছে। ওরা আমার বাবাকেও চোঁখের নিচে চোটাইছে। আমার বাবা এখন দিনাজপুরের হাসপাতালে আছে। আমি এদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজমুল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এআর