লক্ষ্মীপুরে নৌযান শ্রমিকরা ৭ খুনের প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, বিচার এবং ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে এই কর্মবিরতি থেকে শুরু হয়। বিশেষ করে মালবাহী, বালুবাহী, তেলবাহী ও পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করছে। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগ এড়াতে যাত্রীবাহী নৌযানগুলোর চলাচল বন্ধ রাখা হয়নি, এমনটি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে সকাল থেকে কোনো পণ্য লোড ও আনলোড করা হচ্ছে না, এবং ঘাটে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যবাহী কর্গো। মজুচৌধুরীহাট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ একমাত্র নৌপথে যাতায়াত করেন, কিন্তু যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সীমিত হওয়ায় ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
কর্মবিরতির কারণে পণ্যবাহী জাহাজ থেকে প্রতিদিন পণ্য লোড-আনলোড কাজ বন্ধ রয়েছে, এবং শ্রমিকরা নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাদের দাবি, গত মাসে চাঁদপুরে ঘটিত ৭ খুনের রহস্য এখনও উদ্ঘাটিত হয়নি। পাশাপাশি, নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। শ্রমিক নেতারা বলেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। নৌপথে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের সঠিকভাবে বিচার করার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য গত সোমবার চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মাঝেরচরে এমভি আল–বাখেরা জাহাজ থেকে পাঁচ শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আরও দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নৌশ্রমিক হত্যার বিচার, আসল ঘটনা উদ্ঘাটন ও নিহত শ্রমিকদের জীবনের আয় সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পরিবারের কাছে প্রদানসহ আট দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও নৌযান শ্রমিকেরা।
কেকে/এএম