টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’-এর পাখি ঘোষ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নেওয়া মধুমিতা সরকার সম্প্রতি তার পরবর্তী ছবি ‘ফেলুবক্সী’-তে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন। প্রতীম ডি. গুপ্তার পরিচালনায় ‘লাভ আজকাল পরশু’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখার পর মধুমিতা এখন ওটিটি এবং সিনেমার দুনিয়ায় আরও শক্ত অবস্থান গড়ছেন।
মধুমিতা বলেন, আমার চরিত্রটা প্রথমে দেখলে মনে হবে সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত, বাবলি এবং চার্মিং। কিন্তু ভেতরে সে ফেলুর কেসগুলো নিয়ে অনেক ভাবে। চরিত্রের এই দ্বৈততা আমাকে আকৃষ্ট করেছে।
তিনি আরও যোগ করেন, ফেলুকে দেখেও মনে হয় সে মজার মানুষ এবং খাওয়ার ভক্ত। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে সে খুবই সিরিয়াস। এমন দ্বৈত ব্যক্তিত্বগুলো খুবই আকর্ষণীয় এবং বাস্তবধর্মী।
চরিত্রটা করার সময়ে নিজের সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পাওয়া প্রসঙ্গে মধুমিতার ভাষ্য, আমি নিজের প্রশংসা করতে পারি না। নিজের কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না। খুব কাজ করছি, দারুণ কিছু করছি, এটা দেখাতে পারি না। এটাই সব থেকে বড় মিল আমার সঙ্গে দেবযানীর। এ ভাবেই আমি চরিত্রটার সঙ্গে কানেক্ট করতে পেরেছি।
সাক্ষাৎকারে মধুমিতা তার ফটোশুটের পছন্দ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এখন এমন ফটোশুট করতে চাই যা অর্থপূর্ণ। কারণ, সব ধরনের লুকে নিজেকে দেখা হয়ে গিয়েছে। আমি চাই দর্শকরা যেন আমাকে শুধুমাত্র ‘পাখি’ বা ‘ইমন’ হিসেবে না দেখে, বরং মধুমিতা হিসেবে চিনুক।
তিনি আরও যোগ করেন, অনেকেই মনে করেন রিভিলিং পোশাক বা ফ্যাশনের দৃষ্টিভঙ্গি দেখানো আমাদের প্রথম পছন্দ। কিন্তু আমি এমন ফটোশুট করতে চাই, যা একজন মানুষ হিসেবে আমাকে আরও উন্নত করবে। এটি শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্য নয়, বরং আমার ভেতরের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করার জন্য।
নতুন চরিত্রে কাজ এবং অভিনয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে থাকলেও মধুমিতা চান তার প্রতিটি কাজ অর্থবহ হোক। তিনি বলেন, আমি এমন চরিত্র বেছে নিতে চাই যেগুলো আমার অভিনয় দক্ষতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং দর্শকদের মনের গভীরে জায়গা করে নেবে।
মধুমিতা সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিশ্রমী মনোভাব তাকে ওপার বাংলার অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন দেখার বিষয়, ‘ফেলুবক্সী’-তে তার অভিনয় কীভাবে দর্শকদের হৃদয় জয় করে।
কেকে/এএম