বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫,
২৬ পৌষ ১৪৩১
বাংলা English

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: যানজটের কারণে জনগণের কাছে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ      লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন      ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি      ভারতীয় জেলেদের সাথে দুর্ব্যবহারের তথ্য ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়      অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন: সাইফুল হক      বিদ্যুৎ না থাকলেও মিটারে বেশি বিল আসার কারণ জানাল বিএন্ডটি      হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশের ওপর বিরক্ত সৌদি সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা      
খোলাকাগজ স্পেশাল
বিএনপি-জামায়াতে শেল্টার নিচ্ছে আ.লীগের ‘বি টিম’
সফিকুল ইসলাম সবুজ
প্রকাশ: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:১৪ এএম আপডেট: ২৯.১২.২০২৪ ১০:৫৪ এএম  (ভিজিটর : ১৭০)
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুতির পর পালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির নেতারা। পরিচিত মুখ নেতাদের মধ্যে যারা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি তারা রয়েছেন আত্মগোপনে। তবে দলটির দ্বিতীয় সারির (বি টিম) নেতাকর্মীরা যারা সাংগঠনিকভাবে ততটা পরিচিত নন তারা বিএনপি-জামায়াতে শেল্টার নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নেওয়া হলেও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তাদের সঙ্গে সমঝোতা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকা জেলা ও মহানগর, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, মাদারীপুরসহ কয়েকটি জেলার স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা।

গণঅভ্যুত্থানের ৫৫ দিন পরই মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা মোহসেন উদ্দিন সোহেল ব্যাপারীসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একঝাঁক নেতা বিএনপিতে যোগ দেন। এ যেন বিএনপিতে পুনর্বাসন! জানা গেছে, মোহসেন উদ্দিন সোহেল ব্যাপারী আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা এবং স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরীর খুবই আস্থাভাজন। তাকে বিএনপিতে দেখে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

একই ঘটনা ঘটছে বিএনপির দীর্ঘদিনের সহযোগী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতেও। দলটির সহযোগী সংগঠন শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানা শাখার নবগঠিত কমিটিতে রাখা হয়েছে চাঁদাবাজির দায়ে বিতর্কিত শ্রমিক লীগ নেতা মো. সরওয়ার উদ্দিনকে। জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর ফটিকছড়ি সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গাজী মো. বেলাল উদ্দিনকে সভাপতি ও এম এ জাফরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. সরওয়ার উদ্দিনকে ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক করা হয়। এ নিয়ে ফটিকছড়িজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়।

এদিকে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পালানোর পরপরই অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ব্যাংক-বিমা, বিশ্ববিদ্যালয়, ফাউন্ডেশন, হাউজিং কোম্পানি, টেলিভিশনসহ যা যা হাতছাড়া হয়েছিল কড়ায়-গণ্ডায় তা ফিরিয়ে নিয়েছে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় শরিক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন পছন্দের লোক। তারা এখন সংগঠনের পরিধি বাড়ানোর কাজে ব্যস্ত। জামায়াতের আমির ইতোমধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেক জেলা-মহানগর সফর করেছেন। ভোটের চিন্তা মাথায় রেখে প্রস্তুত করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীদের। আগামীতে ভোট টানতে পতিত আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছেন জামায়াত আমির। হিসাবটা এমন- দাঁড়িপাল্লায় যেন পড়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভোটারদের সীল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি ও কর্মী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু আওয়ামী লীগ নেতা যারা বিভিন্ন কারণে নিজেদের অবস্থান দুর্বল মনে করছেন, তারা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন এবং তাদের কাছ থেকে আশ্রয় নিচ্ছেন। কিছু ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের সম্পদ রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করছেন। বিশেষ করে, স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের নেতারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলছেন। এর বিনিময়ে, বিএনপি-জামায়াতের নেতারা স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, ঘাট-বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং বদলি-তদবিরের সুযোগ পাচ্ছেন।

এ ধরনের রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের ঘটনা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা স্থানীয় রাজনীতিতে জটিলতা ও অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য উদ্বেগজনক। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ ধরনের অস্পষ্ট সম্পর্ক ও স্বার্থের সংঘর্ষ সাধারণ জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপিতে কোনো অনুপ্রবেশকারীর জায়গা হবে না। এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন এখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে অনুপ্রবেশ করতে চাইছেন। কারা দলে আসতে চাইছেন তাদের পরিচয় জানতে হবে। কারা এদের দলে অনুপ্রবেশ করাচ্ছেন তাও দেখতে হবে। তৃণমূলের কর্মীরা সাধারণত জায়গা দিতে চান না, এদের সুযোগ করে দেন বড় বড় নেতারা। পদ-পদবিও পাইয়ে দেন অনেকে। আবার কেউ কেউ আওয়ামী লীগের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনকে শেল্টার দিচ্ছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে।’

জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল খোলা কাগজকে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটা মনিটরিং সেল করে দিয়েছি। এটা কেন্দ্র থেকে মনিটর করা হচ্ছে। কারা আশ্রয়-প্রশয় দিচ্ছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালিকা জমা দেওয়া হলে তা আবার আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে যারা পতিত সরকারের কাজকর্মে সহায়তা দিচ্ছেন তাদেরও তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সবুজ খোলা কাগজকে বলেন, ‘আমরা আওয়ামী আমলে স্বল্পসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল-মিটিং করেছি। তখন প্রশ্ন উঠেছিল কমিটিতে ৩০০ লোক কিন্তু কর্মসূচিতে ৩০ জন কেন? এই ৩০০ জনের মধ্যে অনেকেই নিজেদের রক্ষা করতে বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কারণ সে সময় মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। আর বিএনপি নেতাকর্মী পরিচয় পেলেই তার ওপর নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ বল প্রয়োগ করে সাধারণ মানুষকে তাদের মিছিল-মিটিংয়ে নিয়ে আসত। তাদের কথা না শুনলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হতো, করা হতো এলাকা ছাড়া। তাদের এসব নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে বিএনপির অনেকেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলত। তবে তারা কখনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল না। এমন লোকজন যদি এখন বিএনপিতে আসে তাহলে তাদের তো আর আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’  

বদরুল আলম সবুজ বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, আমাদের ভোটের রাজনীতি করতে হবে। তবে কোনোভাবেই স্বৈরাচারের দোসরদের শেল্টার দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে দলের কঠোর নির্দেশনা আছে। এরকম দু-একটি ঘটনা নজরে আসার পর দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে।’

বিএনপির দুর্দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মূল্যায়ন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অনেকেই বলছেন, বিএনপির কিছুসংখ্যক নেতা আছেন যাদের পেছনে কোনো কর্মী নেই। তারা দলের দুর্দিনের আন্দোলন সংগ্রামে তেমনভাবে সক্রিয়ও ছিলেন না। কিন্তু এখন ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর নিজেরা বড় নেতা সেজেছেন। নিজের ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন কমিটিতে আওয়ামী লীগের লোকদের শেল্টার দিচ্ছেন। যেটা খুবই গর্হিত কাজ এবং দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল্লাহ বলেন, ‘যেসব নেতা এতদিন কর্মীবিমুখ ছিলেন, যাদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। মূলত তারাই নিজেদের গ্রুপ ভারী করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরদের শেল্টার দিচ্ছে। পাশাপাশি তারা দুর্দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করছে। যেটা দলের জন্য কোনো অবস্থাতেই ভালো ফল বয়ে আনবে না।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বশক্তি দিয়ে ক্ষমতা ফিরে পেতে চায়। তাদের খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তারা চায় এতদিন যে বিত্তবৈভব অর্জন করেছে তার সব ব্যয় করে হলেও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি বা জামায়াত কেউ যদি তাদের শেল্টার দেয় তাহলে তারা রাজনীতিতে পুনর্বাসন হতে পারে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু এটার জন্য দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে হবে। দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে আওয়ামী লীগই সুবিধা পাবে।’

কেকে/এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  বিএনপি   জামায়াত   আওয়ামী লীগ   বি টিম  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

যানজটের কারণে জনগণের কাছে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ
লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন
ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি
ভারতীয় জেলেদের সাথে দুর্ব্যবহারের তথ্য ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন: সাইফুল হক

সর্বাধিক পঠিত

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর, রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা
গঙ্গাচড়ায় বাংলাদেশ স্কাউটসের ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত
মতলব উত্তরে বিএনপি নেতার মৃত্যুতে তানভীর হুদার শোক
তাড়াশ উপজেলা পরিষদ ভবনের ছাদে ইউএনও’র শখের বাগান ‘বিলকুঞ্জ’
‘নির্বাচন না দিলে মানুষের মনের আগুন নেভাতে পারবেন না’

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝