সবশেষ ৩ সংস্করণে খেলা হয়নি রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির। চার বছর পর আবার টুর্নামেন্টে ফিরছে তারা। ২০১৯-২০ বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপরই হঠাৎ হারিয়ে যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০১৬ সালে রানার্সআপ হওয়া রাজশাহী কিংস এবার খেলছে দুর্বার রাজশাহী নামে। এবারের আসরে দুর্বার রাজশাহীর অন্যতম স্পন্সর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ‘নীলসাগর গ্রুপ’।
এ বিষয়ে নীলসাগর গ্রুপের কর্ণধার মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘খেলাধুলার উন্নয়নে সবসময়ই নীলসাগর গ্রুপ আন্তরিক। এবারো রাজশাহীর পৃষ্ঠপোষকতায় উজ্জীবিত করলো গ্রুপটি। আশাকরি জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠবে পুরো বিপিএল।’
বিপিএলের ১১তম আসরে আগামীকাল উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামছে দুর্বার রাজশাহী। দলটির কোচ ইজাজ আহমেদ জানিয়েছেন, ভাল নৈপুণ্য দেখিয়ে এবার তারা চমক দেখাতে চান। গণমাধ্যমের মুখোমুখি রাজশাহীর কোচ ইজাজ বলেছেন, ‘এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এখানে কিছু ভাল ইনিংস বা ভাল বোলিংই আপনাকে জেতাবে। যে কোনো সিঙ্গেল প্লেয়ারই আপনাকে জেতাবে। আমাদের দলটা বেশ তরুণ এবং ভালো। কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও দলে আছে যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে, যেমন ইয়াসির, তাসকিন, এনামুল হক। এরা সবাই দারুণ ক্রিকেটার। হারিস আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে, সে চলে এসেছে। জিম্বাবুয়ে থেকে রায়ান বার্লও চলে এসেছে। আমাদের দলে অভিজ্ঞ এবং তারুণ্যের দারুণ এক কম্বিনেশন আছে। আশা করি, আমরা ভালো পারফরম্যান্স করে চমক দেখাব।’
দলটির কোচ হতে পেরে দারুণ সম্মানিত বোধ করছেন সাবেক পাকিস্তানি এ ব্যাটার, ‘দুর্বার রাজশাহীর কোচ হিসেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। এটা আমার পঞ্চম বা ষষ্ঠ বাংলাদেশ সফর। টেস্টে আমার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ঢাকা স্টেডিয়ামে ২০৯। এখানে আমি বেশ পরিচিত ছিলাম। এরপর এখানে এশিয়া ইমার্জিং কাপে আসি, সেটাও আমরা জিতি। তাই আমার সময়ে যেসব ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলে খেলেছেন, তাদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে। এবার আমি তাদের মিস করব। রাজশাহীর কর্ণধারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাকে বেশ সাহায্য করেছেন। আমাকে বেশ কয়েকটি জায়গায় সুবিধা দিয়েছেন। তাই অন ফিল্ড এবং অফ দ্যা ফিল্ডে সময়টা ভালো যাবে আশা করছি। এটাও আশা করছি যে আমরা ভালো খেলব এবং আমার কোচিং, ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করব।’
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি আরো বলেছেন, ‘এর আগে আমি পিএসএলে কাজ করেছি। প্রথমবার বিপিএলে কাজ করছি এটা আমার জন্য সম্মানের। আশা করব এটা খুবই রোমাঞ্চকর হবে। আশা করি পরের বছরও আসতে পারব। মালিকরা সম্ভবত পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি সাজিয়েছে। আশা করি, বিপিএলে তারাও আরামদায়ক হবে।’
পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ইজাজ জানিয়েছেন, নিজের অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের মাঝে ভাগ করে দিতে মুখিয়ে আছেন তিনি, ‘আমি আশা করব, তারা যেন নিজেদের ক্রিকেট উপভোগ করতে পারে। আমার ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা থেকেও ভালো কিছু নিতে পারে। আমি ও আমার অভিজ্ঞতা তাদের কাছে শেয়ার করব যেন এগিয়ে যেতে পারে। কেননা দলে কিছু ক্রিকেটার আছে যারা নতুন, আর ৩-৪ জন ক্রিকেটার আছে আগে বাংলাদেশ দলে খেলেছে, কিন্তু এখন নেই। আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে তাদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা দেওয়া। আমি তাদের বলব এ বিপিএলে উপভোগ করে খেলতে।’
কেকে/এজে