বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এই কর্মসূচির ডাক দেয়।
জানা যায়, গতকাল রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জকিগঞ্জে সড়কের ওপর শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিলো। এসময় আবির আহমদ (১৪) নামের এক কিশোর চলন্ত বাসের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা সেই বাস আটকে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের মাঠে নিয়ে এতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এদিকে, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে আজ সকাল থেকে বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস বন্ধ থাকায় দিনভর চরম দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। বিশেষ করে অফিসগামীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তারা অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বিকল্প যানবাহনে অফিসে যান এবং অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ- এটি ছাড়াও আরও অন্তত ৩টি বাস ভাঙচুর করা হয় এসময়। এর প্রতিবাদে সোমবার থেকে পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের বাসের চালক অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে বাস ভাঙচুর করা ও পুড়ানো সন্ত্রাসী কাজ। আমরা এর বিচার চাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের অন্তত ৪টি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার অভাবে আমাদের চালকরা সোমবার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। আজ রাতের মধ্যে প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরো সিলেট জেলায় কর্মবিরতি পালন করবেন বাস চালক ও শ্রমিকরা। আমাদের সঙ্গে বাকি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোও একাত্মতা পোষণ করবে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করছে না বলে জানতে পেরেছি। বাস ভাঙচুরের দাবি করে রোববার রাতে হেলাল মিয়া নামের একজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। উপজেলাজুড়ে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
কেকে/এজে