বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ নির্বিচারে মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জনস্রোতে আওয়ামী লীগ ভেসে গেছে। কিন্তু তার প্রেতাত্মারা এখনও আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাচ্ছে। দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণের চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, গণঐক্যে ফাটল ধরানো যাবে না। কারণ এই ফাটল দিয়ে স্বৈরাচার প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। যে কোনও মূল্য গণঐক্যে ধরে রাখতে হবে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ৫০০ নেতা-কর্মী শহিদ হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার সর্বক্ষেত্রে সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হলেও লজ্জায় পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। নিজের ও দলের কৃতকর্মের কারণে লক্ষ্মণ সেনের মতো হাসিনাকে দলবলসহ পালিয়ে যেতে হয়েছে। পতিত স্বৈরাচারের পূর্বপুরুষেরাও ফ্যাসিবাদী রূপ ধারণ করেছিল। তারা সবসময় মানুষের অধিকার হরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণহত্যাকারীদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, তারপর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা রাজনীতি করতে পারবে কি না। বিএনপি যে ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে সেটি জনগনের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও আরিফুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও মিফতাহ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাদীয় চৌধুরী মুন্নী, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।
মত বিনিময় সভায় সিলেট মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ, ৪২টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের আহবায়করা উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এএম