শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১১নং বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুরের অপসারণ চেয়ে ইউপি সদস্যরা স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) উপজেলার ১১ নং বাঘবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অনাস্থা ও অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান নূরে আলম ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শেফালী খাতুন।
বক্তব্যে তারা অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরে টিসিবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ১৬৪৯ টি কার্ডের মধ্যে ১০৪৯টি কার্ড অর্থের বিনিময়ে ব্যাক্তিগতভাবে বিতরণ করেন। বাকি ৬০০ কার্ড ১২ জন ইউপি সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেন। সরকারী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে রাণীগাঁও গ্রামের আমিজলের বাড়ী জনস্বাস্থ্যের সাবমার্সিবল পাম্প দিয়েছেন চারটি, ব্যাংক কর্মকর্তা আক্তার আলীকে দিয়েছেন একটি। আক্তার আলী খোলা মাঠে স্থাপন করে সেচ কাজের জন্য ব্যবহার করছেন। ইজিপি প্রকল্পে হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে আত্মীয় স্বজনদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা কেউ-ই কোন কাজে অংশ গ্রহণ করে না। কিন্তু তালিকাভুক্ত শ্রমিক হিসেবে তাদের বেতন চেয়ারম্যান নিজেই উত্তোলন করেন।
বাঘবেড় বাজারের খাস জমি কাবিটা ও টিআর টাকায় ভরাট করে বাঘবেড় গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সাগর আলীর নিকট হতে ৫০ হাজার টাকা ও একই গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে গোলাপের নিকট হতে ৩০ হাজার টাকা অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছেন। প্রতি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২৫টি স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন প্রদান করার নিয়ম থাকলেও তিনি অর্থের বিনিময়ে একই ওয়ার্ডে অধিক পরিমাণ ল্যাট্রিন প্রদান করেছেন।
তার লাগামহীন দূর্নীতি ,অর্থআত্মসাৎ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর অনাস্থা পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এসময় ৭ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি পরিষদে যা কিছু বন্টন করেছি সকল মেম্বারদের পরামর্শক্রমে এবং রেজুলেশনের মাধ্যমে করেছি। আমি ২০ বছর ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে আছি কোন অভিযোগ নাই।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, স্মারক লিপি অনুযায়ী এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত যা করনীয় তা করা হবে।
কেকে/এজে