জয়পুরহাটের কালাইয়ে শীতের আগমনে লেপ-তোশক তৈরির কাজ জমে উঠেছে। পৌষ মাসের হিমেল হাওয়া এবং কুয়াশার মধ্যে শীতের আগমনী বার্তা অনুভূত হচ্ছে। শীত নিবারণের জন্য গ্রামাঞ্চলের মানুষ লেপ-তোশক, কম্বল ও কাঁথা সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।
কালাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে যেমন কালাই বাজার, মাত্রাই, মোসলেমগঞ্জ, মোলামগারী, এবং আলুহাটির বাজারে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক তৈরির কাজে। দোকানের সামনে মাদুর বা চাটাই পেতে মাপের কাপড় বিছিয়ে, তুলা দিয়ে সুই ফুটিয়ে সেলাইয়ের কাজ শুরু হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে একটি লেপ বা তোশক তৈরি হয়ে যায়। এইভাবে একটার পর একটা অর্ডার করা লেপ-তোশক তৈরি করে ক্রেতাদের সরবরাহ করা হচ্ছে।
কালাই বাজারের মেহেদী তুলা ঘরের মালিক প্রো. মো. মুহিদুল ইসলাম জানান, লেপ-তোশক তৈরি তাদের দুই পুরুষের পেশা। শীতের মৌসুমে কাজের চাপ বেড়ে যায়। অনেকেই আগাম অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। সারা বছর বিভিন্ন কাজ করলেও শীতের মৌসুমে আয় বেড়ে যায়। তবে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে সংসার চালাতে অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়।
কালাই আলুহাটির বাজারের ব্যবসায়ী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, এটি লেপ-তোশক তৈরির মৌসুম। গার্মেন্টস থেকে পরিত্যক্ত জুট কিনে তুলা তৈরি করে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি শিমুল তুলা ৩০০-৪০০ টাকা, সাদা তুলা ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। একটি ভালো মানের লেপ তৈরিতে খরচ হয় ২২০০-২৫০০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, শীতের তীব্রতা বেড়েছে, তাই পুরোনো লেপ নতুন করে তৈরি করাতে হচ্ছে। গত বছর যেগুলি এক হাজার টাকায় কিনেছিলাম, এবার সেগুলির দাম বেড়ে গেছে।
এভাবে কালাইয়ের লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা শীতের আগাম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন, আর গ্রামাঞ্চলের মানুষ শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এগুলো সংগ্রহ করছেন।
কেকে/এএম