রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের রমাকান্ত (গাউছিয়া বাজার) যুবসমাজের উদ্যোগে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) বিকেলে গজঘণ্টা রমাকান্ত (গাউছিয়া বাজার) সংলগ্ন বোতলার দোলায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় নীলফামারী, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার ২৩ টি ঘোড়া অংশ নেয়।
গ্রামীণ ঐহিত্য ধরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা পরিচিত করার লক্ষে টিম জিয়নের পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রথম স্থান অধিকার করেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মজনু মিয়া, দ্বিতীয় স্থান বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরের মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন ও তৃতীয় স্থান শ্যামপুরের মিরাজুল ইসলাম।খেলা শেষ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ওসি আল এমরান। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন রংপুর জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুর আহমেদ আজাদ, আর.এ.এম.সি শপিং কমপ্লেক্সের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বাংলার চোখ রংপুরের চেয়ারম্যান হাজ্বী মোঃ তানভীর হোসেন আশরাফী, ডিআরবি নিউজ এর প্রতিষ্ঠাতা ও এটিএন নিউজের রংপুর প্রতিনিধি শাহরিয়ার মীম, টিম জিয়নের কো-অর্ডিনেটর রেজাউল করিম (রাযী)।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গজঘন্টা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লুলুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
খেলা দেখতে আসা গঙ্গাচড়া সদরের মিজানুর রহমান (৫০) বলেন, ঘোড়া দৌড়ের আয়োজনের কথা শুনে ছেলেকে নিয়ে ঘোড়দৌড় দেখতে আসলাম। অনেক ভালো লেগেছে।
গঙ্গাচড়া সদরের মৌলভীরবাজার এলাকার আব্দুল আলীম প্রামানিক (৬৫) বলেন, ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখে খুবেই ভালো লাগছে। এমন আয়োজনে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে আবেগ আপ্লুত হয়েছি।
এ প্রতিযোগিতা দেখে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে মনে পড়ে গেলো। তবে এমন আয়োজন প্রতিবছরেই হলে ভালো হয়’। ঘোড়ার মালিকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তারা বিভিন্ন এলাকায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। শারীরিক অবস্থা যতদিন ভালো থাকবে ততদিন তারা ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন’।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, গ্রামীণ ঐহিত্য টিকিয়ে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা পরিচিত করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় তিনি এই এলাকার যুব সমাজকে ধন্যবাদ জানান।
কেকে/এআর